সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে আলোচনায় বসতে রাজি হলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ মেল পাঠানোর পর জেনারেল বডি বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেন পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে রাজি।
সোমবারের চিঠিতে কী লিখেছেন মুখ্যসচিব?
এদিন সরকারের তরফ থেকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে সেখানে সুপ্রিম কোর্টের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সরকারের তরফে এটা পঞ্চম এবং শেষ চেষ্টা। খোলামনে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও লাইভ স্ট্রিমিং এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে না বলে মুখ্যসচিবের পাঠানো ওই ইমেলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সপ্তম দিনে পড়ল আজ। এর আগে একাধিকবার সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা ভেস্তে যায়। তবে সোমবার বিকেল পাঁচটায় আলোচনায় রাজি হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
গত শনিবার কালীঘাটের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রাজ্য সরকারের তরফে আহ্বান করা হয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জট কাটাতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে ছিলেন, শুধুমাত্র পাঁচ দফা দাবি নিয়েই আলোচনায় আগ্রহী তাঁরা। যদিও লাইভ স্ট্রিমিং এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের শর্তে ওই আলোচনা ভেস্তে যায়।
মেল পাঠানোর পর ফের বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক শেষে তাঁরা জানিয়ে দেন, আলোচনায় রাজি তাঁরা এবং পাঁচ দফা দাবিতে অনড় তাঁরা।
শনিবার দুপুরেই আন্দোলনকারীদের ধরনা মঞ্চে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে আলোচনার জন্য আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কাজে ফেরার আবেদন জানান। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এবং রাজ্য সরকারের তরফে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই মতো জুনিয়র ডাক্তাররা কালীঘাটে পৌঁছলেও লাইভ স্ট্রিমিং এবং ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের শর্তে আলোচনা ভেস্তে যায়।