রবিবার সন্ধ্যায় ফের পথে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতায় সাতটি মশাল মিছিল করেন তাঁরা। কারও হাতে মশাল, কারও হাতে আবার বিচারের দাবি চেয়ে লেখা পোস্টার। পাশাপাশি জেলার মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররাও এদিন পথে নামেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ফের আরজি কর কাণ্ডের শুনানি। সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলি। তবে তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার দাবিতে তাঁদের এই প্রতিবাদ চলবে।
জুনিয়র ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছিলেন, অবস্থান তুলে নিলেও তাঁদের আন্দোলন চলবে। সেই মতো নতুন কিছু প্রতিবাদের কর্মসূচিও গণ কনভেশনের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেছিলেন। রবিবার মেডিকেল কলেজ কলকাতা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত একটি মশাল মিছিল হয়। ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত একটি মিছিল হয়। সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ থেকে ডানলপ পর্যন্ত মশাল মিছিল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড় পর্যন্ত আরও একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ কলকাতায় কেপিসি মেডিকেল কলেজ থেকে এইট বি পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি ছিল চিকিৎসকদের।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা করেন, পরের দিন শুক্রবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান উঠবে। তবে অবস্থান উঠলেও আন্দোলন চলবে, সে কথা ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। এদিকে নতুন করে সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজে নিরাপত্তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। সেখানেও কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সেই আবহে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পর ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।