গরুপাচার তদন্ত মামলার শুনানিতে হুমকি চিঠি প্রসঙ্গ তুলতে দু পক্ষকেই নিষেধ করলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। বুধবার আদালতে হাজিরা দিয়েই এই ব্যাপারে পৃথক তদন্তের দাবি করেন গ্রেফতার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তারপরেই আদলত কক্ষে বিচারকের ঘোষণা, এই ব্য়াপারে যেন কেউ কোনও কথা না বলেন। কারণ, এই মামলার সঙ্গে চিঠিক কোনও সম্পর্ক নেই। এদিন আদালতে ঢুকে হুমকি চিঠি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান অনুব্রত। একইসঙ্গে বিচারককে তিনি জানান, মঙ্গলবার যা হয়ে তা, বিচারক যেন ব্যক্তিগত ভাবে তদন্ত করেন। তার প্রেক্ষিতেই বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানান, তাঁরা বিচারপ্রক্রিয়ায় যথেষ্ট প্রশিক্ষিত। তাঁরা অবাধ এবং নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে জানেন। তিনি যে চিঠি পেয়েছেন তারসঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। তাই দু পক্ষকেই বলছেন, শুনানির সময় এই বিষয়ে কথা না বলতে। না হলে তিনি মামলার পক্ষ হয়ে যাব। বিচারবিভাগীয় তদন্ত বসে যাবে।
গত ২০ অগস্ট বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী একটি হুমকি চিঠি পান। তাতে লেখা ছিল, ‘গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিন, নয়তো সপরিবার মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে।’ বুধবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে রওনা হওয়ার আগে এই হুমকি চিঠি প্রসঙ্গে অনুব্রত বলেন, ‘‘আমি জজসাহেবকে বলব। আমি সিবিআই তদন্ত চাইব।’’ আদালতে ঢোকার পরেও একই প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
মঙ্গলবারই এই ঘটনায় বিজেপি চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী, এই ঘটনায় তাঁর কোনও হাত নেই বলেও দাবি করেছিলেন বর্ধমান আদালতের কর্মী বাপ্পা চট্টোপাধ্য়ায়ও।