বুধবার কংগ্রেসের (Congress) ডাকে ১২ ঘণ্টা বনধ ঝালদায় (Srike in Jhalda) । বনধ সফল করতে এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা । ঝালদার আনন্দবাজার এলাকায় চলছে পথ অবরোধ । রাস্তায় বসে পথ অবরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu) । সঙ্গে রয়েছেন মহিলা কংগ্রেস কর্মীরা । বনধের ফলে রাস্তা-ঘাট শুনশান । বন্ধ দোকান, বাজার । যান চলাচলও বন্ধ ।
বনধের কারণ কী ?
পুরসভার বোর্ড গঠন করা নিয়ে মঙ্গলবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ঝালদায় । তপন কান্দুর স্ত্রী ও মহিলা কংগ্রেস কর্মীদের উপর পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে । তারই প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছেন কংগ্রেস কর্মীরা । সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বনধ চলবে । এই বিষয়ে পূর্ণিমা কান্দু বলেন, 'পুলিশরা নিজেরাও জানে যে মঙ্গলবার বোর্ড গঠন হয়েছে । কিন্তু, পুলিশের বোর্ড গঠনে তো থাকার দরকার নেই । আর আমরা কাউন্সিলর, আমাদের ঢুকতে দেওয়া উচিৎ ছিল । কিন্তু, পুলিশ আমাদের ঢুকতে দেয়নি । '
মঙ্গলবার পুরবোর্ড গঠনের দিন অশান্তি ঝালদায়
মঙ্গলবার পুরবোর্ড গঠনের দিন তপন কান্দু খুনের প্রতিবাদে ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোর করে পুরসভা দখলের অভিযোগ তুলে কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস । কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, তাদের নির্বাচিত প্রার্থীরা কালো ব্যাজ পরে কাউন্সিলর পদে শপথ নেবেন । এদিন, সেই উদ্দেশেই জয়ী ৪ কংগ্রেস প্রার্থীরা নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয় পুরসভা পর্যন্ত । মিছিলে ছিলেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু । কিন্তু, ঝালদা পুরসভায় পৌঁছানোর আগে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় । সেইসময় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান পূর্ণিমা কান্দু ও কংগ্রেসের কর্মীরা । চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ, পুলিশি নিগ্রহের শিকার তিনি । একইসঙ্গে তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পূর্ণিমা ।
তপন কান্দু হত্যায়(Tapan Kandu Murder)গ্রেফতার করা হয়েছে দাদা নরেন কান্দু এবং সুপারি কিলার আসিফ খানকে । পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার দাবি করেছিলেন, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন । ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সোমবার তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের(CBI Investigation)নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata High Court)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের নির্দেশ, ৪৫ দিনের মধ্যেই তদন্ত শেষ করে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে । আদালতের নির্দেশ, অভিযোগকারী এবং মানুষের মনে আস্থা ফেরানোর জন্য তদন্ত করবে সিবিআই ।