ইডির (ED) নজরে এখন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ইমেইল আইডি (Arpita Mukherjee's Email ID) । অর্পিতার ইংরেজি বানানের প্রথম তিন অক্ষর অর্থাৎ এআরপি দিয়ে তৈরি হয়েছে এই আইডি । আইডি হল ARPmymail@gmail.com । ইডি আধিকারিকদের দাবি, ওই আইডি বহু জায়গায় ব্যবহৃত হয়েছে । তদন্তে নেমে এই ইমেইল-এর সূত্র ধরেই আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানির খোঁজ মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর । এই ইমেইল আইডি সংক্রান্ত আরও তথ্য পেতে এবার গুগলের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি । গুগলের (GOOGLE) সাহায্যে ওই ইমেইল আইডি আর কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে ? সেখানে কী কী তথ্য এসেছে সেই সমস্ত জানতে চান গোয়েন্দারা (ED takes help from Google) ।
প্রথম দফায় ইডির(ED) আধিকারিকরা তিনটি কোম্পানির হদিস পান । যেখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ডিরেক্টর পদে রয়েছেন । তিনটি কোম্পানির ক্ষেত্রেই অর্পিতার ওই ইমেইল আইডি ব্যবহার করা হয়েছে । সেই সূত্র ধরেই আরও একটি কোম্পানির হদিশ মেলে । নাম অনন্ত টেক্সফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড। ওই কোম্পানিতে নথি অনুযায়ী খাতায়-কলমে কোথাও সরাসরি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) যুক্ত নন । কিন্তু সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছে অর্পিতার ওই ইমেইল আইডি । এরপর নজরে আসে ভিউ মোর হাইরাইজ প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি কোম্পানি । সেখানেও অর্পিতার সেই ইমেইল আইডি ব্যবহার করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন, Sanjay Raut: ৬ ঘণ্টা জেরার পর গভীর রাতে গ্রেফতার সঞ্জয় রাউত
৮ নম্বর যামিনী রায় সরণি ঠিকানায় কোম্পানিটি রয়েছে । যদিও, তিনতলা বাড়িতে তালা ঝুলছিল বলে দাবি ইডি আধিকারিকদের । অনেক ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি । প্রতিবেশীরা জানান, বাড়ির মালিকের নাম মনোজ জৈন । তাঁদের দাবি, ওখানে কোনও কোম্পানি আছে বলে তাঁরা জানেন না । এরপর এই কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর দেবাশিস দেবনাথের খোঁজ শুরু করে ইডি । মিনিস্ট্রি অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের খাতায় দেবাশিসের ঠিকানা ১/১২০ শ্রী কলোনি রিজেন্ট এস্টেট । অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট ঘর । সেখানে গিয়ে জানা যায়, দেবাশিস একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন । অন্তত সেরকমই জানেন তাঁর মা । মায়ের কাছ থেকে দেবাশিসের নম্বর নিয়ে তাঁকে ফোন করতেই কথা ঘোরাতে থাকেন তিনি । তাঁর দাবি তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। কিন্তু, কী কাজ করেন বলতে গিয়ে বারবার তিনি কথা ঘোরানোর চেষ্টা করেন । পরিষ্কার করে কিছুই বলতে পারেন না তিনি । পরে জানান, মনোজ জৈনের কাছে কাজ করেন তিনি ।
ইডির গোয়েন্দাদের দাবি, বড়সড় চক্র রয়েছে । কালো টাকার একটা বড় অংশ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এভাবেই বিভিন্ন জায়গায় সরিয়েছে বলে দাবি তাঁদের । সেই টাকার হদিস পেতে অর্পিতার এই ইমেইল আইডি এখন ইডির কাছে একটা বড় হাতিয়ার ।