ভাঙড়ের একই বাড়ি থেকে উদ্ধার দম্পতির মৃতদেহ। অভিযোগ, তাঁদের কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। দুজনের শরীরেই অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এছাড়াও মৃত মহিলার গলায় দড়িও ছিল। লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন। মৃতদের নাম মোশারফ পিয়াদা এবং শাহানারা বিবি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকায়।
কী ঘটেছে?
মৃত দম্পতির ছেলে জানিয়েছেন, রবিবার বাড়িতেই ছিলেন তিনি। দোতলার একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে বাবার রক্তাক্ত দেহ দেহ দেখতে পান তিনি। তার কিছুটা দূরে পরে ছিল তাঁর মা শাহানারা বিবির দেহ। কেউ কুপিয়ে খুন করেছে বলেই ছেলের ধারণা। তবে তাঁর মায়ের গলায় দড়িও ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিবারের অন্য সদস্যরা জানিয়েছেন, মোশারফ পিয়াদা পেশায় সবজি বিক্রেতা। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে ওই দম্পতি আত্মীয়দের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেন। সেই সময়ও কথাবার্তায় কোনও অসংলগ্নতা চোখে পড়েনি বলে দাবি পরিজনদের। কিন্তু রবিবার সকালেই দুজনেরই দেহ পড়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে যান আত্মীয়রা।
ওই এলাকা থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক টিমের সদস্যরা। সবকিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। মৃত দম্পতির ছেলে ও প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে কৃষ্ণনগর কাণ্ডের তদন্তে নতুন তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত যুবকের প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে কনফারেন্স কলে কথা হয়েছিল বর্তমান প্রেমিকা অর্থাৎ নিহত তরুণীর। অভিযুক্ত যুবকের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু মারফত কনফারেন্স কলে কথা হয় তাঁদের মধ্যে।
তদন্তে উঠে এসেছে, আগে সোনারপুরের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ধৃত যুবকের। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। তারপর কৃষ্ণনগরের ওই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। এর মধ্যেই কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত যুবক। অভিযোগ, সেখানেও একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। এরপর ফের বাড়ি ফিরে আসেন।
এদিকে লক্ষ্মী পুজোর দিন অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর অন্য এক যুবতীর সঙ্গে অন্যত্র বেড়াতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত যুবক। এমনটাই জানতে পারেন নিহত তরুণী। সেইসময়, তিনি বারবার ওই যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন। দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ২১ বার ফোন করলেও একবারও ফোন রিসিভ করেননি অভিযুক্ত যুবক।
এরপর, অভিযুক্তের এক বন্ধুকে ফোন করেন নিহত তরুণী। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। এবং সেইসময়ই আত্মহত্যার হুঁশিয়ারি দেন।