শুক্রবার সকালে বাগুইআটি জোড়া খুনের মূলচক্রী সত্যেন্দ্র গ্রেফতার হওয়ার পরই, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মৃত পড়ুয়া অতনুর মা। সত্যেন্দ্রর ফাঁসি চান, অতনুর মায়ের গলায় রাগ-ক্ষোভ-হাহাকার!
নিহত অতনু-র মা বলেন, "ওর ফাঁসি চাই। আমার অতনুকে ও ওই ভাবে মেরেছে।আমার অতনু কী দোষ করেছিল ও আমার অতনুকে, আমার বড় আদরের ছেলে, আমার একমাত্র ছেলে, বড় আদরের ও"
সত্যেন্দ্রকে চিনতেন কী না প্রশ্ন করা হলে বলেন, "ও তো এই পাড়ারই ছেলে। এই পাড়াতেই শ্বশুর বাড়ি। এখানেই ওরা থাকে। ওর থেকে বাইকের জন্য টাকা নিয়েছে, ওর বন্ধুদের থেকে আমি শুনেছি পরে। ও আমাকে বলেনি , ওর বন্ধুরা বলেছে। ওর বন্ধুরা থানাতেও বলেছে এসব কথা। আর তারপরে আমার ছেলেকে এই অবস্থা করে দিয়েছে। ওর ফাঁসি চাই।
ছোট্ট একটা ভুল। আর তাতেই পণ্ড হল সত্যেন্দ্র চৌধুরির সমস্ত প্ল্যান। বাগুইআটির দুই কিশোরকে খুন করার পর থেকে অত্যন্ত সাবধানী ছিলেন তিনি। নাগাল পেয়েও নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। পুলিশ জানিয়েছিল, সত্যেন্দ্র একাধিকবার সিমকার্ড বদলানোয়, খোঁজ মিলছিল না। কিন্তু শুক্রবার সকালে সামান্য ‘অসবাধান’ হলেন তিনি। হয়তো পালিয়ে যাওয়ার তাড়া ছিল বলেই। আর সেই ‘সামান্য অসাবধানতাই’ মুহূর্তই সত্যেন্দ্রকে এনে ফেলল বিধাননগর পুলিশের জালে।
Supreme Court on TMC: সুপ্রিম স্বস্তি ১৯ তৃণমূল নেতার, সম্পত্তি মামলায় স্থগিতাদেশের নির্দেশ
শুক্রবার বাংলা থেকে অন্য রাজ্যে পালানোর চেষ্টা করছিলেন সত্যেন্দ্র। ট্রেনে যাবেন বলে এসেছিলেন হাওড়া স্টেশন চত্বরে। স্টেশনেই ট্রেনের টিকিট কাটছিলেন তিনি। হয়তো আগামী কয়েক দিন গা-ঢাকা দিতে হবে অনুমান করেই টিকিট কাটার আগে অনলাইনে টাকার একটি লেনদেন করেন সত্যেন্দ্র। ওই অনলাইন লেনদেনের সূত্র ধরেই সত্যেন্দ্রের খোঁজ পেয়ে যায় বিধাননগর পুলিশ।
আরও পড়ুন- Baguiati murders' suspect Satyendra arrested: বাগুইআটি জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র গ্রেফতার
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা সত্যেন্দ্রের ফোন ‘ট্র্যাক’ করছিলেন। কিন্তু বার বার সিম বদলানোয় তাঁর লোকেশন পেতে অসুবিধা হচ্ছিল। শুক্রবার এক আত্মীয়ের থেকে অনলাইনে টাকা নিয়েছিলেন সত্যেন্দ্র। সত্যেন্দ্রের এই আত্মীয়েরও ফোন ট্র্যাক করেছিল পুলিশ। শুক্রবার সকালে ওই আত্মীয়ই তাঁকে অনলাইনে টাকা পাঠান। কিন্তু সম্ভবত টিকিট কাটার তাড়ায় অনলাইন লেনদেনের সময় আর সিম বদলাতে পারেননি সত্যেন্দ্র। ফোনের টাওয়ারের তথ্য থেকে পুলিশ জানতে পারে, সত্যেন্দ্র হাওড়া স্টেশনে রয়েছেন। খবর পেতেই দ্রুত স্টেশন চত্বরে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। সাদা পোশাকের পুলিশের ওই দলটিই গ্রেফতার করে সত্যেন্দ্রকে।