জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লক তৃণমূলের একটি লেটারহেড নিয়ে এখন সমাজমাধ্যমে শোরগোল পড়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেখা সেই লেটারহেডে তিনজনের নাম এবং রোল নম্বর রয়েছে। নীচে ব্লক সভাপতির (Mahua Gope) সিল রয়েছে এবং মহুয়া গোপের নামে একটি সই। যদিও লেটারহেডটি আসল, না নকল এডিটরজি বাংলা তার সত্যতা যাচাই করেনি। বিরোধীদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ওই নামগুলি সুপারিশ করা হয়েছিল।
যদিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই লেটারহেড সম্পূর্ণ ভুয়ো দাবি করে বিরোধীদের পাল্টা নিশানা করেছেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ। তাঁর দাবি, “জেলার মানুষ জানে, মহুয়া গোপ কোনওদিন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়নি। বিরোধী নেতাদের চ্যালেঞ্জ করছি, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করুন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমি মুখ খুলতে পারি। কিন্তু নিম্নমানের রাজনীতি আমি চাই না।”
মহুয়ার দাবি, ষড়যন্ত্র করেই তাঁর নামে ভুয়ো চিঠি ছড়ানো হয়েছে। মহুয়ার দাবি, এর সম্পর্কে কিছুই জানা নেই তাঁর। তিনি বলেন, “আমি ভাবতেও পারি না, কতটা নিচু মানের রাজনীতি করলে এ সব ছড়ানো হয়।” তৃণমূলের তরফে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিজেপির জেলা নেতাদের একাংশের সম্পত্তি নিয়ে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “বিজেপি শুধু তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তোলে। কিন্তু গত কয়েক বছরে জেলা বিজেপির এক নেতা কত টাকার মালিক হয়েছেন তা দেখা হোক। বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন, অথচ তিনি কী কাজ করেন তা কেউ জানে না।”
Partha Chatterjee:‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার’ দল থেকে সাসপেন্ড হয়ে বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে লেটারহেড প্যাড দেখিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করছে তা আসল নয়।। তা ছাড়া লেটারহেড দিয়ে প্রমাণ হয় না যে কোনও সুপারিশ বা অনিয়ম হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, প্যাডের মধ্যে কারও নাম রোল নম্বর লেখাই থাকতে পারে কিন্তু প্যাডের ওপরে কারও নাম লেখা নেই, অর্থাৎ কাকে পাঠানো হয়েছে তার উল্লেখ নেই।
বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সেটি প্রকাশ্যে আনা হোক। আমাদের অনুমান, জেলার সব ব্লক থেকে তৃণমূলের নেতারা সুপারিশ করেছিলেন। সে সবও জোগাড় করছি।”