সোমবারের সকাল। মালদহের কালিয়াচকে গুলি করে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিয়ে খুন করা হয়েছে তৃণমূলের এক কর্মীকে। জেলা পুলিশ থেকে দাবি করা হয়েছিল, এই ঘটনায় টার্গেট করা হয়েছিল কালিয়াচকের তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান বকুল শেখকে। পুলিশের এই দাবির পরেই, মালদহের এই ঘটনায় উঠে আসে জাকির নামের আর এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, তা স্বীকার করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাঁর যুক্তি, দল বড় হলে কোন্দল থাকে। আবার তা থেকে দলকে বারও করতে হয়। তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তি নয়, দলই শেষ কথা। ফলে যদি কেউ মনে করেন, তিনি দলের থেকে বড়, তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২ জানুয়ারি মালদহে খুন হয়েছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল সরকার। সেই ঘটনার ১২ দিনের মধ্যে ফের কালিয়াচকে শুটআউট। সেই ঘটনা নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, সরকার এবং প্রশাসন যে যার মতো ব্যবস্থা নিচ্ছে।
অভিষেকের বক্তব্য, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাউকে ফাঁসাতে হবে, এ সব ভেবে তদন্ত হয় না বাংলায়। তদন্ত তদন্তের মতো করে হয়। সেখানে যে কারও যোজসাজশ থাকুক না কেন তা সামনে আসে। কালিয়াচকের ঘটনা নিয়ে এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানান, এই ব্যাপারে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দল তাঁর প্রতি আস্থাশীল। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গে অভিষেকের যুক্ত, একটি রাজনৈতিক দল বড় হলে, তাতে কোন্দল স্বাভাবিক। যা বিজেপি মধ্যেও আছে, সিপিএমের মধ্যেও ছিল।