রাজ্যে এবার তেজস্ক্রিয় পাচার চক্রের হদিশ। বর্ধমান পুলিশের অভিযান হুগলির শ্রীরামপুর থেকে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত এক বিডিও। ধৃতের নাম সুধন্য দে। রবিবার ওই ব্যক্তিকে আদালতে পেশ করা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে ফাঁস হল এই পাচার চক্র ? পুলিশ সূত্রে খবর, হরিপালের আদি বাসিন্দা সুধন্য একসময় অরুণাচলের কোনও এক জেলার বিডিও ছিলেন। পুলিশি জেরায় সে দাবি করেছে, মোটা টাকার বিনিময়ে রাজারহাটের এক ব্যক্তি তাকে এই তেজস্ক্রিয় পদার্থটি বিক্রির জন্য দিয়েছিলেন। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে চোরা পথে অ্যান্টিক জিনিস কেনাবেচায় ওই ব্যক্তি জড়িত বলেও পুলিশি জেরায় দাবি সুধন্য়ের।
এরআগে গত সপ্তাহে নির্দিষ্ট সূত্র থেকে খবর পেয়ে বর্ধমান থেকেই এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের থেকেই উদ্ধার করা হয় প্রায় সাড়ে ৯০০ গ্রামের তেজস্ক্রিয় পদার্থটি। যা পরে কলকাতার গবেষণাগারে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। পুলিশের কাছে ওই তিন ধৃত দাবি করে, ৫০ লক্ষ টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল তারা। জেরায় এই কারবারে জড়িত আরও এক ব্যক্তির সন্ধান মেলে। শ্রীরামপুর থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শ্রীরামপুর থেকে গ্রেফতার ওই ব্যক্তিকে জেরা করেই উঠে আসে অবসরপ্রাপ্ত বিডিও সুধন্যের নাম। শনিবার শ্রীরামপুরের প্রভাসনগরে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল সুধন্য। তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়।