RG কর কাণ্ডের জেরে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত। এই পরিস্থিতিতে পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে একাধিক পুজো কমিটি। এবার সেই পথেই হাঁটল নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়ি যে এলাকায় তার পাশের পাড়ার একটি পুজো কমিটি। সরকারি অনুদান প্রত্যাখান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। উদ্যোক্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, পুজো হলেও সবরকম উৎসব রাখা হবে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোটা রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তারা। ওই বৈঠকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেন। গতবার সেই অনুদান ছিল ৭০ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, RG কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুজো অনুদান নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিল হুগলির একাধিক ক্লাব। তারমধ্যে রয়েছে উত্তরপাড়ার বৌঠান সঙ্ঘ, উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো, কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি, জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাপুজো, মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি, কলকাতার মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব সহ আরও কয়েকটি ক্লাব। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল নির্যাতিতার বাড়ির পাশের পাড়ার একটি পুজো কমিটি।
এদিকে অনুদান প্রত্যাখ্যান করার বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যে সব ক্লাবগুলি অনুদান প্রত্যাখ্যান করছে তাদের সেই টাকা ফেরত নিয়ে নতুন ক্লাব কমিটিকে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন ক্লাবও এবার অনুদান পাওয়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। চলতি বছরে সেই অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। আগামী বছর থেকে ওই অনুদান বৃদ্ধি করে ১ লাখ টাকা করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
পুজোয় সরকারি আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার খরচা মকুব করা হয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে গতবার ৬৬ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছর থেকে ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।