আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।
সত্যিই তো, বাইরে থেকে দরজা খুলতে খুলতে ক্লান্ত মনেরা ভালবাসা খোঁজে, আরও বেশি করে খোঁজে ভালবাসার মাসে, ভালবাসার সপ্তাহে। কিন্তু ভালবাসা কি আর দিনক্ষণ পাঁজি দেখে আসে? কিন্তু কিছুটা বাজার, আর অনেকখানি ইতিহাস মিলেমিশে প্রেম-উদযাপনের জন্য বেছে নিয়েছে ক্যালেন্ডারের বিশেষ একটা দিন- ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস ডে। তবে এই দিনটির নেপথ্যে রয়েছে একজন মানুষের আত্মত্যাগের ইতিহাস। তিনি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন।
রোমের বাসিন্দা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক ও খ্রিস্টধর্মের যাজক। তখন রোমে খ্রিস্টধর্ম নিষিদ্ধ। রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে যিশুর বাণী প্রচার করার অপরাধে, তৃতীয় শতকের মাঝামাঝি কারাবন্দি হলেন ভ্যালেন্টাইন, সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াসের নির্দেশে।
কথিত আছে, কারাগারে এক দৃষ্টিহীন নারীর চোখে দৃষ্টি ফিরিয়ে, তাঁর চিকিৎসা করেন ভ্যালেন্টাইন, তাঁর কিছুটা হয়তো সত্যি, কিছুটা মিথ।। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ল ভ্যালেন্টাইনের নাম। ক্রুদ্ধ সম্রাট মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত ভ্যালেন্টাইনকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিতেই কার্যকর হয় সেই আদেশ।
এর প্রায় ২০০ বছর পর পঞ্চম শতকের শেষের দিকে পোপ গেলাসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখটিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসাবে ঘোষণা করেন। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিজে কখনও ব্যক্তিপ্রেমের প্রচারক ছিলেন না। নারী পুরুষের চেনা প্রেমের বাইরে চিরন্তন মানবপ্রেমের পূজারী ছিলেন তিনি। সেই আশ্চর্য মানুষটির আত্মবলিদানের তারিখটিই হয়ে উঠল ভালোবাসার দিন।