দিবাস্বপ্ন দেখেননি এমন মানুষের সংখ্যা হয় তো এই পৃথিবীতে কমই আছে। প্রচলিত ধারণা, দিবাস্বপ্ন যারা দেখে, তারা নাকি দায়িত্বশীল কাজে মনোযোগ দিতে চায় না। দিবাস্বপ্ন দেখলে নাকি ভবিষ্যতে সফল হওয়া সম্ভব নয়। গবেষণা কিন্তু এ ব্যাপারে অন্য কথাই বলছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, দিবাস্বপ্ন দেখা স্বাভাবিক। কারণ দিবাস্বপ্ন দেখলে সময় নষ্ট নয়, বরং দিবাস্বপ্ন দেখা সুস্থ এবং স্বাভাবিক মনের লক্ষণ। গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ সময় দিবাস্বপ্ন দেখেন তাঁরা অন্যান্যদের তুলনায় একটু বেশিই স্মার্ট। তাঁদের ভাবার ক্ষমতাও অন্যদের তুলনায় বেশি।
দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখার উপকারিতা:
১. স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমায়
দিবাস্বপ্ন দেখলে কিছুক্ষণের জন্য বাইরের জগত থেকে মন আলাদা হয়ে যায়। ফলে ওই চিন্তাভাবনা মনকে শিথিল করে। উদ্বেগ কমায়।
২. সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে
দিবাস্বপ্ন চিন্তাভাবনাকে গভীরে নিয়ে যায়। দিবাস্বপ্ন দেখার পর সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারা যায়
৩. মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ব্যবহার
শিশুদের বেশিরভাগই বৈচিত্র্যময় কল্পনাশক্তি থাকে যা দিবাস্বপ্ন দেখার ফল। এই স্বপ্ন আমাদের মস্তিষ্ককে চিরাচরিত চিন্তাভাবনার বাইরেও বিভিন্ন চিন্তা করার সুযোগ করে দেয়। যার ফলে সৃজনশীল মনোভাবকে আরও উন্নত করে।
৪. লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে
গবেষণায় দেখা গেছে যে দিবাস্বপ্ন দেখার সময় যে চিন্তাভাবনা করা হয়, তা আবেগ-অনুভূতি মিশ্রিত কল্পনা বা সুন্দর ভবিষ্যতের চিন্তাভাবনা। যা আদতে জীবনের লক্ষ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই কারণে অনেক সময় ক্রীড়াবিদ এবং পারফর্মাররা কখনও কখনও একটি ম্যাচ বা পারফরম্যান্সের আগে অনুশীলন করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক ভাবে দিবাস্বপ্ন দেখেন।
৫ সৃজনশীলতা প্রসারিত করে
একটি সমীক্ষায় ছাত্রদের দুটি গ্রুপকে কাঁচি এবং কাঁচের মতো দৈনন্দিন ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করার জন্য ২ মিনিট সময় দেওয়া হয়। দেখা যায়, যারা দিবাস্বপ্ন দেখেছেন তাঁরা অনেক বেশি সৃজনশীল ভাবনার অধিকারী।
সুতরাং পরের বার কেউ আপনাকে দিবাস্বপ্ন নিয়ে কিছু বলতে এলে তাঁদের বলুন, আপনি সৃজনশীল ভাবনার অভ্যেস করছেন।