হাতের ওপর হাত রাখা সহজ নয়
সারা জীবন বইতে পারা সহজ নয়
কবির কথা যে কতটা সত্যি, কত মানুষ জীবন দিয়ে বোঝেন। বিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান, সেই প্রতিষ্ঠানের ভাল আছে, মন্দ আছে, সবই আছে। কিন্তু বিয়ে নিয়ে পড়াশোনার কথা এতদিন বোধহয় কেউ ভাবেনি। তা প্রথম ভাবল কোন দেশ? চিন দেশ। বিয়ে নিয়ে ৪ বছরের স্নাতক স্তরের কোর্স শুরু করল চিনের Vocational University of Civil Affairs।
বিয়ে নিয়ে চার চার বছরের লম্বা কোর্স! কী পড়ানো হবে তাতে? এ টু জেড সবটাই। একেবারে ম্যাচ মেকিং থেকে, প্রাক বিবাহ কাউন্সেলিং, ম্যারেজ রেজিস্ট্রশন, বিয়ের সব আচার-আচরণ, এমন কী বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তার আগের কাউন্সেলিং সম্পর্কেও পড়ানো হবে এই ডিগ্রি কোর্সে।
বিয়ের ভেন্যু সাজানো, ম্যারেজ ইন্ডাস্ট্রির অর্থনীতি, পরিবারের এথিক্স, ফ্যামিলি পলিসি, সব পড়ানো হবে চার বছরে। কেন হঠাৎ বিয়ে নিয়ে আস্ত ডিগ্রি চালু করতে হল একটা দেশে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে দেশের মানুষের বিয়েতে আগ্রহ কমছিল। ২৫ থেকে ২৯ বছরের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক সেখানে বিয়ে করছেন না। পরিবার-সন্তান এসব থেকে মন উঠেছে চিনাদের বড় অংশের। ফলে দেশজুড়ে বয়স্কদের সংখ্যাই কেবল বেড়ে চলেছে। নতুন প্রজন্ম ক্রমশ কমছে।
ভারতে অবশ্য পরিস্থিতি ততটা উদ্বেগের নয়। তবে সিঙ্গল জীবনে স্বাধীনতা বেশি, এমনটা মনে করে এই প্রজন্মের বড় অংশ। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কলকাতার একটি ওয়র্ডে এই স্বাধীনতা দিবসে একটি অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিবাহিত জীবনে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন, এমন দম্পতিকে খুঁজে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কারের নাম ‘স্বর্ণ সঙ্গী সম্মান’।
কলকাতার ৩০ নম্বর ওয়র্ডের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার এর উদ্যোক্তা। তাঁর এলাকায় দাম্পত্যের গোল্ডেন জুবিলি পার করা দম্পতিদের খুঁজে বের করেছেন নিজেই। কেন এমন উদ্যোগ? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনের গতি বেড়েছে, একই মানুষের হাত ধরে ৫০ বছর একে অন্যকে বুঝে হেঁটে চলা কম কথা নয়, বিশ্বাস করেন স্বপন বাবু। তাই সেই সকল দম্পতিকে একটু স্বীকৃতি দিতে চাওয়া।