মেয়ের ফোনে বিরক্ত হয়েই ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। আদালতে এমনটাই দাবি বিধায়কের আইনজীবীর। আদালতকে নিয়ে জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে লেখাপড়া করেন বিধায়কের মেয়ে। সেখান থেকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে রোজ তার কথা হত। সিবিআই তল্লাশির সময় মেয়ের ফোন বারবার আসছিল বলেই নিজের ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। আদালতে জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীর এই দাবিতে সব মহলেই এখনও বিস্ময়।
প্রায় ৬৬ ঘণ্টার চেষ্টায় পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল জীবনকৃষ্ণের দুটি মোবাইল ফোন। তা নিয়ে যাবতীয় রহস্য এখন ঘেঁটে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ঠিক এই সময়ে আদালতের জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীর এই যুক্তিতে কার্যত সবাই হতবাক। কারণ, সিবিআইয়ের দাবি এই দুটি ফোনেই রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য।
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর পাল্টা, ওই বিধায়কের বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতির প্রচুর নথি পাওয়া গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ওঁর মূল এজেন্ট কৌশিক ঘোষ জেলবন্দি। তাঁর বয়ান থেকেই বিধায়কের বিরুদ্ধে সমস্ত রকম তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে।