শেষ বাহাত্তর ঘণ্টায় কী হয়েছিল ? টেলি-অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallabi dey) মৃত্য়ু রহস্য়ে এই প্রশ্নটাই এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। কারণ একটি সূত্র থেকে পুলিশ জেনেছে, ঘটনার তিনদিন আগে ফ্ল্যাট থেকে বের হননি পল্লবী ও সাগ্নিক (Sagnik Chakraborty)। তা-হলে কী হয়েছিল ওই বাহাত্তর ঘণ্টা ? কারণ, পল্লবীর পরিবার অভিযোগ করেছে সাগ্নিক তাঁদের মেয়ের উপর শারীরিক অত্যাচার করত। তাই বিষয়টা আরও বিস্তারিত ভাবে জানার চেষ্টা করছেন ,তদন্তকারীরা। এই অবস্থায় সাগ্নিক চক্রবর্তীর বাবা-মাকে থানায় ডেকে জেরা করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশি জেরায় সাগ্নিকের দাবি, পল্লবীর হাতের টাকা ফুরিয়ে আসছিল। বেশ কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা লগ্নি করেছিলেন পল্লবী। এ ছাড়াও ইএমআই দিয়ে কিনেছিলেন গয়না। অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে টাকা রোজগারের রাস্তা বের করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এদিকে, সাগ্নিককে টানা জেরার পর পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত যে, সল্টলেকে ভুয়ো কলসেন্টারের কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই যুবক। যেহেতু সল্টলেক ও রাজারহাটে কলকাতা পুলিশ, সিআইডি ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ ক্রমাগত তল্লাশি চালায় কলসেন্টারগুলিতে। তাই বেগতিক বুঝে সাগ্নিক সাতদিন আগেই নিজের কলসেন্টারটি বন্ধ করে দেন।
মূলত বাড়িতেই ছিলেন এই ক’দিন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ফ্ল্যাটে টানা এক সঙ্গেই ছিলেন পল্লবী ও সাগ্নিক। ওই সময়টুকুর জন্য দু’জনের মধ্যে কোনও গোলমাল হয় কি না, সেই তথ্য বাড়ির কেয়ারটেকার ও অন্যান্য বাসিন্দাদের পরিচারিকা সেলিমা সর্দারের কাছ থেকেও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। পল্লবীর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই প্রচণ্ড রাগারাগি করতেন সাগ্নিক। মারধর করতেন পল্লবীকে। আহত অবস্থায় কান্নাকাটি করতে করতে পল্লবী মাকে জানাতেন বিষয়টি।