১০ জুন থেকে রাজ্য় বিধানসভায় (West Bengal Assembly) শুরু বাদল অধিবেশন। সাত দিনের এই অধিবেশনে আসতে চলছে শিক্ষা সংক্রান্ত (Education Bill) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল। যার মধ্যে রয়েছে রাজ্য়ের বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিতে আচার্য (Chancellor) পদে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নাম প্রস্তাব নিয়ে বিলটিও। কিন্তু প্রশ্ন হল, আসন্ন এই বাদল অধিবেশনে রাজ্য়ের বিরোধী দল বিজেপির (Bjp) কি ভূমিকা হবে ? রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-সহ তাদের ছয় বিধায়কের সাসপেনশনের (Suspention) প্রতিবাদে এবার বাদল অধিবেশন বয়কটের কথা চিন্তা করছে গেরুয়া শিবির। যদিও সরকারি ভাবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই দাবি রাজ্য বিজেপি সূত্রে।
সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) সরিয়ে রাজ্যের অধীন প্রতিটি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ভিজিটর' পদেও রাজ্য়পালকে সরিয়ে শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য় বসুকে করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় বিরোধী হিসাবে বিজেপির কি ভূমিকা হবে, তা দেখার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। কারণ, গত বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগে শুভেন্দু-সহ সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য়-সচেতক মনোজ টিগ্গা (Manoj Tigga), জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতো, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এর আগে বিধানসভায় সাসপেন্ড হন মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখোপাধ্য়ায়।
বিজেপি সূত্রে খবর, বিধানসভা বয়কট নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই ব্যাপারে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ, বিধায়কদের সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। যার শুনানি এখনও হয়নি। তবে, গেরুয়া শিবিরের আর এক অংশ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিধানসভার বাদল অধিবেশনে সরকারকে একেবারে ফাঁকা গোলে গোল করতে দেওয়া হবে না।