দেশজুড়ে এখনও কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা কমেনি। তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানায় কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হওয়ার পর উদ্বেগ বাড়ছে। কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল হতেই ফের শুরু হয়েছে গা-ছাড়া মনোভাব। এবার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে নজরদারি শুরু করছে রাজ্য। তিনটে জোনে রাজ্যকে ভাগ করে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
মঙ্গলবার দুটি পুর এলাকাকে পিঙ্ক জোন ঘোষণা করা হয়েছে। কোনও পুর এলাকায় ১০ জনের বেশি কোভিডে আক্রান্ত হলেই তা পিঙ্ক জোনের আওতায় চলে আসে। রাজারহাট-নিউটাউন পুরএলাকায় এক সপ্তাহে ১০ জন ও বিধাননগর পুরসভাতে ২১ জন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। পিঙ্ক জোনে আছে কলকাতার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: নার্স বিক্ষোভে ধুন্ধুমার সল্টলেকে, স্বাস্থ্যভবনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
একই সপ্তাহে ২ জনের বেশি কোভিডে আক্রান্ত হলে সেই এলাকাকে ব্ল্যাক জোন ঘোষণা করা হয়। ব্ল্যাক জোনে আছে কলকাতা পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড। এছাড়া ব্ল্যাক জোনে আছে রাজপুর-সোনারপুর, পানিহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, খড়গপুর ও বাঁকুড়া পুরসভা। এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।
কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজারহাট নিউটাউন, লাভপুর, ব্যারাকপুর, খড়গপুর- এই পাঁচ এলাকা নিয়ে আগেও সতর্ক করেছিল রাজ্য। গত সপ্তাহে এইসব এলাকায় ১০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। খড়গপুরে আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশ আইআইটি ক্যাম্পাসের পড়ুয়া। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পুরসভাগুলিকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।
গোটা দেশেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিডের নতুন প্রজাতি। তামিলনাড়ুতে এক তরুণীর শরীরে BA.4 প্রজাতির ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। এর আগে তেলাঙ্গানায় ৮০ বছরের মহিলার শরীরে BA.5 প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।