কলকাতার রাস্তায় ছোট্ট দোকান। আর তাতেই পসরা সাজিয়ে বসেছেন দুই ভাই। হরেক রকম ম্যাগি। ব্যস্ত শহরে সময় নেই মানুষের। স্কুল, কলেজ, অফিস নিয়ে দম ফেলা যায় না। সকালে বা বিকেলে একটু ভিন্ন স্বাদের ম্যাগি পেলে মন্দ হয় না। হাজরা মোড়ে বসুশ্রী সিনেমা হলের সামনে এই দোকানের নাম 10th Fail Maggiwala। কেন এমন অদ্ভুত নাম, আগের ভিডিয়োটি না দেখে থাকলে, দেখে নিন উপরের লিঙ্কে ক্লিক করে। তবে এই ভিডিয়োতে দেখুন, কতটা স্বপ্ন নিয়ে ওরা কলকাতা এসেছে। কতটা কঠিন ওদের লড়াই।
পাহাড়ে ঘুরতে গেলে রাস্তায় ম্যাগি খাননি, এমন লোক কমই আছেন। ক্লাস টেনে ফেল করেছিলেন ভাই কৌশিক বর্মণ। এরপর আর পড়াশোনা করেননি তিনি। বাবার সঙ্গে সবজি বিক্রি করতেন। কিন্তু স্বপ্ন ছিল, একটা ক্যাফে হবে তাঁর। তবে ক্যাফে তৈরির জন্য যা খরচ, তার বাজেট কোথায়! কলকাতায় এসে দুই ভাই মিলে হাজরা মোড়ে একটি ম্য়াগির দোকান দিয়েছেন। স্বপ্ন, একটা স্টার্ট আপ বিজনেজ তৈরি করা। তবে দাদা অনীক না থাকলে, হয়তো এই স্বপ্নপূরণ সম্ভব হত না কৌশিকের। দাদা অনেক আগেই পড়াশোনা করতে প্রথমে এলাহাবাদ ও পরে কলকাতা এসেছিলেন। ভাইকে নিয়ে হাজরা মোড়ে একটা দোকান ভাড়া নিয়ে ম্যাগির দোকান চালু করার পরিকল্পনা অনীকেরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
Editorji বাংলার আগের ভিডিয়োতে আমরা জানিয়েছিলাম, এই দোকানের কেন এমন অদ্ভুত নাম। যদি না দেখেন, একবার দেখে নিতে পারেন। এলাহাবাদ থেকে আইন নিয়ে ব্যাচেলার ডিগ্রি নিয়ে কলকাতা আসেন অনীক। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন জর্জস কোর্ট ও পুলিশ কোর্টে প্র্যাকটিস করেন তিনি। ৫টা পর্যন্ত কোর্টের কাজ চলে। আইনের জটিল সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মাথায় ঘোরে ভাইয়ের স্টার্ট আপ নিয়ে বিভিন্ন প্ল্যান। ভাইরাল হওয়ার পর জীবনটাই বদলে গিয়েছে পরোটা বিক্রেতা রাজুদার। মানুষ যদি একবার দোকানের নামটা জানতে পারে, তা হলেই চলবে। এক ধাক্কায় অনেকটা সেল বেড়ে যাবে। সেটাই ইচ্ছে কৌশিক ও অনীকের। তা তখনই সম্ভব, যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের নাম লোকজন জানতে পারবে। হাজরার মোড়ে বসুশ্রীর সামনে তাঁদের এই দোকান। এখন ভাড়াতেই চলে। মাত্র ২ মাসের মধ্যে যত ধার ছিল, সব মিটিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। এবার একটু লক্ষ্মীর মুখ দেখবেন। প্রত্যাশা রাজুর।
কুল্লাড পিৎজ়া কেমন হয়, বলে দিলেন ম্যাগিওয়ালা। আছে স্পেশাল অফারও। জেনে নিন এখনই।
ওদের দোকানে এগ, চিকেন, মাটনের পাশাপাশি পাওয়া যায় ফিশ ম্যাগিও। ভেটকি, চিংড়ি দিয়ে রান্না হয় ম্যাগি। কেমন হয় প্রন ম্যাগি। একটি সিক্রেট মশলা ব্যবহার করে। তবে পদ্ধতি কেমন, দেখে নিতে পারেন।