বিদ্রোহী মদনকে লাগাম পড়াতে অবশেষে তৎপর হল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসএসকেএমের ঘটনা নিয়ে ঠোঁটকাঁটা কামারহাটির বিধায়ক। কখনও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার। আবার কখনও আক্ষেপ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তাঁকে সময় দেয় না বলে। মদনের দাবি, গত পাঁচ বছরে পাঁচ মিনিটও তাঁকে সময় দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন মদন মিত্র। সূত্রের খবর, দলের তরফে তাঁকে সংযত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও মদনের দাবি, দল তাঁকে তাড়িয়ে দিলে তিনি টিউশন করে সংসার চালাবেন।
শুক্রবার রাতে রাজ্যে অন্যতম সেরা সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কামারহাটির বিধায়ক। এসএসকেএমের একদা বেতাজ বাদশাকে রোগী ভর্তি করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়। হাসপাতালে দাঁড়িয়েই তিনি দাবি করেন, বাম আমল হলে রোগীকে ভর্তি নিয়ে চিন্তা করতে হত না। এমনকী হাসপাতালে দাঁড়িয়েই এসএসকেএম বয়কটের ডাক দেন তিনি। মদনের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। শনিবার বেলঘরিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, এসএসকেএম সম্পর্কে কামারহাটির বিধায়ক যা বলেছেন, তাতে কোনও ভুল নেই। তাঁদেরও অনেক সময় অনেক সরকারি হাসপাতালে এমন অভিজ্ঞতা হয়।
এদিকে, শুক্রবারের ঘটনায় কামারহাটির বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এসএসকেএমের তরফে। এদিন, হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দেন, হাসপাতালে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে দাঁড়িয়ে হুমকি এবং গুন্ডামি করলে যে শাস্তি দেওয়া হয়, এক্ষেত্রেও তারা সেই পথে হাঁটবে। তারপরেই কামারহাটির বিধায়ক ফের মুখ খোলেন। দাবি করেন, তিনি গুন্ডামি করেছেন, প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। এবং চ্যালেঞ্জ করেন একমাসের মধ্যে কামারহাটিতে ভোট করাতে হবে। তবে দল তিনি ছাড়বে না বলেই জানিয়ে দেন মদন মিত্র।