সারদা-নারদ মামলায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দলের নেতা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু। উল্লেখ্য, আগেই মঙ্গলবার রাজভবন যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল তৃণমূলের তরফে।
সারদা কান্ডে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবি নিয়ে একাধিকবার পথে নেমেছে শাসকদল। ইতিমধ্যেই এই দাবিকে সামনে রেখে কলকাতা, হলদিয়া ও কাঁথিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সের সামনেও সভা করে শাসক দল।
প্রতিনিধি হিসেবে আছেন ফিরোজা বিবিও। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃত গ্রামবাসীদের মধ্যে ছিলেন ফিরোজার পুত্র শেখ ইমদাদুল। সেই সময় থেকেই তাঁকে সামনে রেখে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই ফিরোজাকেই আবার আন্দোলনের প্রথম সারিতে তুলে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, সারদা কাণ্ডে ধৃত সুদীপ্ত সেন দাবি করেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ৫০ লাখ টাকার ড্রাফট দেখিয়ে 'লাখ লাখ কোটি কোটি' টাকা নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। আর এই অভিযোগকে ঘিরেই শাসক শিবিরের প্রশ্ন, সারদা কেলেঙ্কারিতে যদি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকে সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে, তবে সারদার কর্ণধারের অভিযোগ সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার হবেন না শুভেন্দু?
শুধু তাই নয়, একসময় বিজেপি অফিসে স্ক্রিন টাঙিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার ছবি দেখানোর কথা তুলে তৃণমূলের প্রশ্ন, কেন নারদা মামলায় দিনের পর দিন জেলের বাইরে শুভেন্দু? উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর নাম নেই নারদা মামলার এফআইআরেও। ফলে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।