তিলজলা এলাকায় নাবালিকা শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এবার বালিগঞ্জ স্টেশন অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রবিবার রাতে তিলজলা থানা এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগে আটক ৩ জনকে মুক্তি দিতে হবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও আছেন। ওই তিন স্থানীয়কে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলেও হুমিক দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। পাশাপাশি অভিযুক্ত অলোক কুমারকেও তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার এর আগে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান তিলজলার বাসিন্দারা। নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যরাও বিক্ষোভে সামিল। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিশ তৎপরতা দেখালে শিশুটিকে বাঁচানো যেত বলেও দাবি স্থানীয়দের। রবিবার রাতে তিলজলা থানা লক্ষ্য করে ঢিল, পাটকেলও ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। পুলিশ এলাকা খালি করার জন্য লাঠি নিয়ে বেরোয়। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রেফতার করা হয় ৩ জন স্থানীয়কে। তাঁদের মুক্তির দাবিতে এবার রেল অবরোধ তিলজলার বাসিন্দাদের।
তিলজলায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমারকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ অভিযোগ পাওয়ার পরই শিশুর খোঁজ শুরু হয়। ৩২টি ফ্ল্যাটে চিরুনি তল্লাশি চালায় পুলিশ। অলোকের ফ্ল্যাট বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় সেখান থেকেই শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা।