সোমবার সন্ধ্যায় আচমকা দুই সিবিআই অফিসার সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে আনেন। তাঁকে মাঝখানে বসিয়ে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা হন। নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়েই গ্রেফতার করা হয়। সন্দীপের পাশাপাশি সিবিআই গ্রেফতার করে বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা ও আফসার আলিকে। এই তিনজন কি সন্দীপেরই সাগরেদ! মঙ্গলবার সন্দীপ-সহ চারজনকেই আদালতে পেশ করবে সিবিআই। কী অভিযোগে এদের গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা!
আরজি কর হাসপাতালে বিভিন্ন মহল থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, বিপ্লব, সুমন ও আসরাফ হাসপাতালের প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত। অনেকেই বলছেন, সন্দীপের ডান ও বাম হাত বিপ্লব ও সুমন। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে 'সূচ থেকে গাড়ি', সবই এদের অঙ্গুলিহেলনেই সরবরাহ হত। প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা জানিয়েছেন, "বিস্কুট, জলের বোতল, অক্সিজেন সিলিন্ডার, বেড, সবই সরবরাহ করত বিপ্লব ও সুমনের সংস্থা।" জানা গিয়েছে, এদের বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থাগুলিই যাবতীয় জিনিস সরবরাহ করত।
কীসের ভিত্তিতে লেনদেন চলত! স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, 'কমিশন ভিত্তিক' লেনদেন করত এই সংস্থাগুলি। ওই দুর্নীতিচক্র হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে মর্গ পর্যন্ত চলত বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার। শুধু বাইরের জিনিস ভিতরে সরবরাহ নয়, উল্টোটাও হত বলে দাবি। সন্দীপ ঘোষের হয়ে কাজ করতেন এই বিপ্লব ও সুমন।
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া আফসারকে নিয়েও আলোচনা চলছে। জানা গিয়েছে, তিনি হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁকে নির্দিষ্ট পোশাকে কখনও দেখা যেত না। সন্দীপ ঘোষের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। আফসার বেলগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা। আফসারের স্ত্রী হাসপাতালের ভিতরে ক্যাফেটেরিয়া চালাতেন। সেটিও বেআইনি ভাবে পাওয়া বলে দাবি অনেকের। আফসারের ভাই আরজি কর হাসপাতালে 'বেআইনি' পার্কিং চালাতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।