হাসপাতালের মধ্যে থ্রেট কালচার নিয়ে ফের উত্তপ্ত হল কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বুধবার সন্ধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে অভিযুক্তদের একপ্রকার হাতাহাতির অভিযোগ উঠল। দু পক্ষের বচসা থামাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। দু পক্ষের ধাক্কাধাক্কির জেরে এক জনের জামা ছিঁড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ কমিটির কাছে হাজিরা দিয়ে অভিযুক্তরা যখন বের হচ্ছিলেন, তখনই তাঁদের তাড়া করার অভিযোগ ওঠে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে। এদিন সকাল থেকেই কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার সময় স্লোগান দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা আশিস পাণ্ডের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন অভিযুক্তেরা। কিন্তু পরিস্থিতি তত ক্ষণে যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে পড়েছিল। আগে থেকেই বিক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তারেরা বাইরে ভিড় করেছিলেন। হাসপাতালের ছ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্তরা। তাঁদের দিকে চোর স্লোগান তোলা হয় বলেও অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের হাসপাতালের বাইরে করে দেন।
আরজি করের ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উঠছে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। এবং প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযোগ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের দিকে। এই পরিস্থিতিতে আরজি করের ঘটনা মোট ৫১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
হাসপাতালে থ্রেট কালচার রুখতে আরজি করে তৈরি করা হয়েছিল অভ্যন্তরীণ কমিটি। বুধবার, সেই কমিটির সামনেই ডাকা হয়েছে ১২ অভিযুক্তকে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসক। অভিযুক্তদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
যাঁদের বিরুদ্ধে আরজি করে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ।