প্রথমে দাবি করা হয়েছিল অরাজনৈতিক মিছিল। দাবি করা হয়ছিল আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের। কিন্তু মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে সেই রক্ত ঝড়ল। প্রতিবাদীদের আন্দোলনে হাওড়া ময়দানে ইটের আঘাতে মাথা ফাটল চন্ডীতলা থানার আইসির। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীও আহত বলে জানা গিয়েছে। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, হাওড়া ব্রিজ এবং মহাত্মা গান্ধী রোডে মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজ্য স্তব্ধ করার হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর এই হুমকিকে আমল দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সাঁতরাগাছিতে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংকে। কুণালের অভিযোগ, এই ঘটনায় স্পষ্ট ছাত্র সমাজের মুখোশে নবান্ন অভিযানের পিছনে রয়েছে বিজেপি।
এদিনের মিছিল থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারীদের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার প্রতিবাদে তিনি হাওড়া স্টেশনে অবস্থান করছেন। কিন্তু শুভেন্দুর এই সমর্থন ঘোষণার ফলে, অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযান কার্যত সেই রাজনৈতিক আন্দোলনেই পরিণত হল।