সকাল সাড়ে নটা। নীল রঙের প্রাসাদসম বাড়ির সামনে পরপর গাড়ি এসে দাঁড়ায়। নেমে আসেন সিবিআই আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপর বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। কমলা রঙের গেটের সামনে কয়েকজন দাঁড়ান। বাড়ির সব গেটে তালা লাগিয়ে গেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা, পাড়া-পড়শি, চায়ের দোকানের বিক্রেতা-ক্রেতা, সবার মুখেচোখে তখন বিষ্ময়, আতঙ্কের ছাপ। এই দৃশ্য দেখতে হবে, ভাবতে পারেননি তারা। বোলপুর থেকে নিমেষে খবর ছড়িয়ে পড়ে সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ গোটা বীরভূমে।
অনুব্রত মন্ডলের বাড়ির সামনে তখন লাখ খানেক লোকের ভিড়। রাখীর দিন তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতাকে এভাবে গ্রেফতার করা হবে, ভাবতে পারেননি বোলপুরবাসী। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে যখন ঢুকছেন সিবিআই কর্তারা, চারদিকে ক্যামেরা, সাংবাদিকদের ভিড়। ভিড় সেই ভিড়ের মধ্যে ভেসে এল একটা কণ্ঠস্বর। কেউ বললেন, আজ আমাদের দুঃখের দিন। কিন্তু ক্যামেরা ঘোরাতেই নিজেকে আড়াল করে নেন ওই ব্যক্তি। হয়তো অস্তিত্ব সংকট। নেতার গ্রেফতারির পর পায়ের তলায় মাটি হারাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: 'অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে', অনুব্রত ইস্যুতে সোচ্চার তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা
ভিড়ে আবার কখনও বা ভেসে এল জয় শ্রীরাম ধ্বনিও। বীরভূমের বাহুবলী নেতার গ্রেফতারির সাক্ষী থাকতে অসংখ্য অনুরাগীর সঙ্গে ছিল বিরোধী দলের সমর্থকরা। তবে রাখীর দিন তৃণমূলের প্রিয় নেতার গ্রেফতারি মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।