বেআইনি বাজি কারখানা আছে। কিন্তু সেই খবর নেই কেন পুলিশের কাছে ? এই প্রশ্ন তুলেই রাজ্যের বেশ কিছু জেলার পুলিশ সুপারকে ধমক দিলেন ডিজি মনোজ মালবিয়া। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা এবং মালদহের ঘটনার জেরে এদিন নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকেই রাজ্যের বেশ কিছু জেলার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিজি। ধমকও দিয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সুপারকে। কেন তাঁদের কাছে এই ব্যাপারে খবর থাকছে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। মূলত জঙ্গলমহলের জেলাগুলির পুলিশ সুপারদের দায়িত্ব ফের একবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশের আগে অবশ্য। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার কেজি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, নদিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি বাজি উদ্ধার হয়েছে। বজবজ, মহেশতলায় এদিনও চলেছে তল্লাশি।
এসবের মধ্যেই অবশ্য মঙ্গলবার সকালে মালদহে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কার্বাইডের ড্রাম নামানোর সময় বাজির গুদামে আগুন লেগে যায়। এই ঘটনা স্থানীয় বাজারের আশপাশের প্রায় ১৫টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, এগরার ঘটনার তদন্তে দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালেই শেষ হয়ে গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের লাইসেন্স। তারপর তার আর নবীকরণ করা হয়নি বলেই দাবি। গত চারবছর গ্রামের মধ্যে বেআইনি ভাবে কারখানা চলছিল বলেই দাবি তদন্তকারীদের।