আরজি কর আন্দোলনে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা হতে পারে। সেই চক্রান্তের অভিযোগে গত শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল বাম যুব সংগঠনের নেতা কলতান দাশগুপ্তকে। কোন যুক্তিতে গ্রেফতার বাম যুবনেতা ? আজ, বুধবার রাজ্যের কাছে এই প্রশ্ন রাখল কলকাতা হাই কোর্ট। এদিন এই মামলার শুনানিতে কলতানের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেই মামলাতেই গ্রেফতারির বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আরজি কর আন্দোলনের মধ্যে গত শুক্রবার ভাইরাল হয়েছিল একটি অডিও। যার সতত্যা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা। ওই ভিডিও ভাইরাল করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, এই হামলার পিছনে রয়েছেন এক বাম নেতা ও এক অতিবাম নেতা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে হালতু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয় দাশকে। পরের দিন শনিবার সকালে টালিগঞ্জ ফাঁড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় কলতান দাশগুপ্তকে।
তাঁর গ্রেফতারির পিছনে চক্রান্তের পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন বাম যুব নেতা। বিধাননগর আদালতে তাঁকে পেশ করা হয়েছিল। আপাতত ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এদিন আদালতে কলতানের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের সওয়াল, ফোনালাপের ভিত্তিতে শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই পুলিশ এই কাজ করেছে। তাঁর আরও যুক্তি, যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাতে সর্বোচ্চ সাজা তিন বছরের জেল। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় নোটিস দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশ কোনও নোটিস দেয়নি বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কলতানকে গ্রেফতারের পর যুক্তি সাজিয়েছে পুলিশ।
রাজ্যের তরফে এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। গ্রেফতারির আগে নোটিস প্রয়োজনীয়, তা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। রাজ্য এদিন আদালতকে জানিয়ছেন, এই ঘটনায় আর ধৃত সঞ্জীব দাশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে কলতান দাশগুপ্তকে। তাই গ্রেফতারি কোনও বেআইনি নেই বলেই দাবি রাজ্যের।
দু পক্ষের এই সওয়াল জবাবের পর বৃহস্পতিবার এই মামলায় রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। বামেদের আশা, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্ট গ্রেফতার কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করতে পারে।