বেতন (School Fees) না দিলেও ক্লাস করতে দিতে হবে পড়ুয়াদের (Students)। বেসরকারি স্কুলগুলিকে এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, পড়াশোনায় কোনও বাধা দিতে পারবে না স্কুল। এই প্রসঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের নোটিস সঠিক নয় বলে দাবি দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
বেতন বাকি থাকায় শহরের অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়াদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে। এমনটাই অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয়। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, বেতন বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে (School Entrance) কোনও রকম বাধা দেওয়া যাবে না। এমন কী আইনশৃঙ্খলার দোহাই (Law and Orders) দিয়ে স্কুল বন্ধও রাখতে পারবে না কর্তৃপক্ষ।
গত ৯ এপ্রিল জিডি বিড়লা (GD Birla) স্কুলের পক্ষ থেকে একটি নোটিস দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, বেতন না দিলে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এমনকী আইন শৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে কলকাতার পাঁচটি বেসরকারি স্কুলের গেটে তালা দেওয়া হয়। সেই নোটিস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের নিরাপত্তা প্রয়োজন, হাঁসখালি কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
শুধু তাই নয়, ১৪৫টি বেসরকারি স্কুলের বকেয়া ফি নিয়ে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেছিল আদালত। আগামী ৬ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।