থাকতে হবে প্যানিক বাটন, রাখতে হব মহিলা পুলিশ কর্মী। আরজি করের ঘটনায় সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো উন্নতিতে স্বাস্থ্য ভবনকে ১০ দফা নির্দেশিকা পাঠাল নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বৃহস্পতিবার এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে। এই নির্দেশিকা জারির মধ্যেই রাজ্যে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি কার্যত মেনে নিল বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। কারণ, দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলা বানভাসি। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তারদের এখন কাজে ফেরাতে মরিয়া রাজ্য সরকার। এদিন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার কালীঘাটে বৈঠকের পর বুধবার নবান্নে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মিনিটস নিয়ে দু পক্ষের মতবিরোধের জেরে এখনও কর্মবিরতিতে অনড় তাঁরা। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১০ দফার এই নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। যেখানে স্বাস্থ্য ভবনকে নির্দেশ দেওয়া হল, হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী তথা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন রাখতে হবে।
মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা যাতে পর্যাপ্ত থাকে, সে দিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। রাতে প্রতিটি হাসপাতালে স্থানীয় থানার পুলিশের টহলদারি দলও রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারদের জন্য পৃথক বিশ্রামঘর ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে ডাক্তার, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদ দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। রোগী ও তাঁদের পরিজনদের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
আরজি করের ঘটনার পর রাজ্যের তরফে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। নবান্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শুধু নির্দেশ দেওয়াই নয়, হাসপাতালের সুরক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়নে নজিরবিহীন পদক্ষেপে দরপত্রেই কাজ শেষের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া রাজ্য সরকারের এমন আশ্বাস দ্রুত কার্যকর করে দেখাতে চায় নবান্ন। তাই অক্টোবর মাস শুরু হওয়ার আগেই এই বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চাইছেন নবান্নের শীর্ষকর্তারা।