গার্ডেনরিচ কান্ডে এবার প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। বছর দেড়েক আগেই আমিরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয় পার্ক স্ট্রিট থানায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও এক অদৃশ্য চাপে পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। শনিবার গাজিয়াবাদ থেকে আমির গ্রেফতার হতেই প্রকাশ্যে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে খবর জানাজানি হতেই পার্কস্ট্রিটের এসআইকে ক্লোজ করে কলকাতা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, চিনা মোবাইল গেমিং অ্যাপ 'ই নাগেটস' বানিয়েছিলেন আমির খান। সেই গেমের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেন ওই ব্যবসায়ী-পুত্র। প্রথমে গেম জিতলেই ইউজারদের ওয়ালেটে জমা হত টাকা। সেই টাকা তুলতে কোনও সমস্যা ছিল না। কম টাকা বিনিয়োগ করে বিপুল টাকার টোপ দেওয়া হত। সেই লোভে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করলেই শুরু হত প্রতারণা। একটা সময় বিপুল টাকা জিতলেও আর ওয়ালেট থেকে সেই টাকা তোলা যেত না। এমনকি, অ্যাপ থেকেই ইউজারের সমস্ত তথ্য মুছে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমিরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় লক্ষাধিক টাকা। সাড়ে ১৪ ঘন্টার তল্লাশি শেষে টাকার অঙ্ক বেড়ে হয় সাড়ে ১৭ কোটি। কলকাতার তিন জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি। এর মধ্যে ছিল বন্দর এলাকা গার্ডেনরিচ। আমির খানের বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়া নোটের তারা। নোট গুনতে খবর যায় ব্যাঙ্কে। আটটি মেশিনের চেষ্টায় শেষ হয় গণনা।