দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) বেলভিউ হাসপাতালে (Belview Hospital) ভর্তির পর থেকেই তাঁর অবস্থা ছিল সংকটজনক। তবুও গোয়েন্দা
কৌশিক, বাহাদুর বেড়াল, নন্টে-ফন্টের স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথকে (Narayan Debnath) দ্রুত সুস্থ করার চেষ্টা করছিলেন চিকিৎসকদের দল। তাঁদের সেই চেষ্টা
ব্যর্থ হল মঙ্গলবার সকালে।
প্রয়াত নারায়ণ দেবনাথ। এই খবর শোনার পর থেকে শূন্যতা শিবপুরে (Shibpur)। কারণ, আজীবন তিনি শিবপুরের বাসিন্দা বলেই গর্বে বুক ফোলাতেন। গত পাঁচ দশকের বেশি সময় এই ঘরই ছিল শিল্পীর সবকিছু। এই মন্দিরের সঙ্গেই আজও জুড়ে বাঙালির শৈশব। তাই শিল্পীর প্রয়াণের খবর আসতেই হাসপাতালে যান হাওড়ার তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় (Arup Roy)। নারায়ণ দেবনাথকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাসপাতালের আসেন কলকাতার মেয়র (Mayor) ফিরহাদ হাকিমও (Firhad Hakim)।
আরও পড়ুন : Mamata on Narayan Debnath : নারায়ণ দেবনাথের প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
দুপুর একটার খানির পরেই নারায়ণ দেবনাথের নশ্বর দেহ হাসপাতাল থেকে বার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর প্রিয় হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের
(Shibpur) দিকে। শিবপুরে ফিরলেন নারায়ণ দেবনাথ। কিন্তু আজ সব অতীত করে। তাই এই ঘরও যেন আজ শূন্য। গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে এই ঘর
থেকেই বাঙালির শৈশবে জন্ম নিয়েছিল হাঁদা-ভোঁদা থেকে কেল্টুদা। দেব সাহিত্য কুটির, কিশোর ভারতীর মতো পত্রিকায় যা আজ নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের
দলিল হয়ে রইল।
জনস্রোত। আক্ষরিক অর্থেই। তাঁর জনপ্রিয়তাকে অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। তাই শেষবার নারায়ণ দেবনাথকে দেখার জন্য উপচে পড়ল শিবপুরে। পরিজনের পাশাপাশি তাঁর শেষ যাত্রায় ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ও। পূর্ণ মর্যাদায় শিবপুর শ্মশানে নারায়ণ দেবনাথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।