ঠিক যেন বাবা শম্ভু মিত্রের (Shambhu Mitra) মতো। দিনটা ছিল ১৯৯৭ সালের ১৯ মে। সেদিনও বাংলার আধুনিক নাট্যজগতের মহারথী শম্ভু মিত্রের প্রয়াণের কথা জানতে পারেনি এই বাংলা। জানতে পেরেছিল তাঁর শেষ কৃত্যের পরেই।
ঠিক সিকি শতাব্দীর পর...
আজ দিনটা ১৬ জানুয়ারি। রবি সকালেই বাংলার নাট্যজগতকে কার্যত অনাথ করে চিরঘুমে বিদায় নিলেন শম্ভু-কন্যা শাঁওলী মিত্র (Shaoli Mitra)। তাঁরও প্রয়াণের খবর বাংলা জানতে পারল শেষকৃত্যের পরেই। ৭৪ বছরের শাঁওলি মিত্রের শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সিরিটি শ্মশানে। পরিবারের অল্প কয়েকজনের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। শেষকৃত্যের পর জানানো হয় তাঁর মৃত্যু সংবাদ। ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ।
ইচ্ছাপত্রে শাঁওলি মিত্র লেখেন, তাঁর মৃত্যুর পর কোনও ফুলভার যেন তাঁকে বইতে না হয়। তাঁর মৃত্যুর পর কন্যাসম অর্পিতা ঘোষ ও পুত্রতূ্ল্য সায়ক চক্রবর্তী শেষকৃত্যের সমস্ত ব্যবস্থা করবেন। সেখানে তিনি জানান, সকলের অগোচরে যেন অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সেই ইচ্ছাকেই সম্মান জানান তাঁর স্বজনেরা।
থিয়েটার ও নাটক ছাড়াও চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। ঋত্বিক ঘটকের ছবি যুক্তি তক্কো আর গপ্পোতে বঙ্গবালা চরিত্রে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। ২০০৩ সালে বাংলা থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা শাঁওলি মিত্র। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পান তিনি। ২০১২ সালে তাঁকে বঙ্গবিভূষণ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে বাদ বাংলার ট্যাবলো ? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
২০১২ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন। পরে অবশ্য এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।