আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে মাঝে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা। এই ঝড় আসার আগে আবহাওয়াবিদদের দাবি, বৃহস্পতিবার এই ঝড়ের আছড়ে পরার সম্ভবনা রয়েছে কেন্দুপাড়া এবং পারাদ্বীপের মাঝমাঝি অঞ্চলে। যা খবর, তাতে এই নিম্নচাপ এখনও পারাদ্বীপের ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সাগর থেকে দূরত্ব ৭৭০ কিলোমিটার।
কালীপুজোর আগে এই ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের ফাঁকেই তিনি জানিয়েছেন, ঝড় মোকাবিলা করাই এখন রাজ্য প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
ইতিমধ্যে রাজ্যের উপকূল অঞ্চলে মাইকিংয়ের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। কারণ, আলিপুরের দাবি আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার থেকে কলকাতা ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। ল্যান্ডফলের সময় তা ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের আশেপাশে থাকতে পারে।
পুজোর আগেই বন্যার জলে ভেসেছে দক্ষিণবঙ্গ। এবার ঘূর্ণিঝড়। উপকূলের উপর এবার যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। তাই, আলাদা ভাবে হাই-অ্যালার্ট করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরকে। ইতিমধ্যেই দিঘা ও মন্দারমণি, বকখালি-সহ উপকূলের বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রকে সতর্ক করা হয়েছে। দিঘাতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু হোটেল খালি করে দেওয়া হয়েছে।