কলকাতা হাই কোর্টে ভর্ৎসিত আরও এক শিক্ষক। বুধবার তাঁর মামলা খারিজ করে উল্টে তাঁকেই প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। ওই শিক্ষকের অভিযোগ ছিল, তাঁকে অন্য়ায় ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাতেই বিচারপতি মান্থারের প্রশ্ন ছিল, কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন ? একইসঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, এটা কী মগের মুলুক ? কারণ, এই ধরণের ব্য়ক্তিদের জন্য প্রায় নয় বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি।
প্রায় নয় বছর নদিয়ার গয়েশপুর উচ্চবিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে আংশিক সময়ের শিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন নাসিরুদ্দিন শেখ। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে অন্য়ায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি।
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে নাসিরউদ্দিন যখন গয়েশপুরের ওই স্কুলে চাকরি পান, তখনই তাঁকে বলা হয়েছিল এই পদ অস্থায়ী। তাই কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। নাসিরউদ্দিনকে নেওয়ার ব্যাপারে শুধুমাত্র সুপারিশ করেছিল ওই স্কুলে পরিচালন কমিটি।