চকোলেট খেতে চেয়েছিলেন বাবা। সেই ইচ্ছা অধরাই রয়ে গেল। প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। বাবাকে নিয়ে শেষ স্মৃতিচারণে একথাই জানালেন সমরেশ কন্যা দোয়েল মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেহ শায়িত থাকবে তাঁর বাসভবনে। সংবাদমাধ্যমকে দোয়েল জানিয়েছেন, সাহিত্যিকের মৃত্যুর পর তখনও সরকারের তরফে কোনও ফোন তিনি পাননি। সরকারের তরফে তাঁকে সম্মান জানানোর প্রস্তাব দেওয়া হলে পরিবারের কী ভূমিকা হবে ? তাতে সমরেশ কন্যা জানিয়েছেন, জীবিত অবস্থাতেই সাহিত্যিক বলে গিয়েছিলেন, মৃত্যুর পর তাঁর দেহ যেন রবীন্দ্রসদন বা সাহিত্য অ্যাকাডেমি যেন না রাখা হয়। তাই সরকারি প্রস্তাব এলেও তাতে মত দেওয়া খুব মুশকিল বলেই দাবি সমরেশ কন্যার।
৭৯ বছর বয়সে সোমবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। সমরেশ কন্যা জানিয়েছেন, গত দুদিন কেবিনেই ছিলেন বাবা। বিকেলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই সময়টুকু দিলেন না। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাথায় রক্তক্ষরণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সাহিত্যিক।
সাহিত্যিকের মৃত্যুতে গভীর শোক বাংলার সাহিত্যমহলে। সুবোধ সরকার থেকে জয় গোস্বামী, সমরেশেরল প্রয়াণে শোকাহত। শোকপ্রকাশ করে ভক্তদের পোস্ট সমাজমাধ্যমে।