২৭ দিন আগের এক রাত। মেয়ের খবর পেয়ে কলকাতার অন্যতম সেরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন তাঁরা। এই হাসপাতালেই ডাক্তারি করতেন তাঁদের একমাত্র মেয়ে। এরপর...। বাকিটা ইতিহাস।
২৭ দিন পর ৪টা সেপ্টেম্বর। সেই আরজি করেই ফিরলেন তাঁরা। এবার মেয়ের বিচার চেয়ে। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে আরজিকর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা কর্মসূচিতে যোগ দিল নির্যাতিতার পরিবার।
বাড়ি থেকে বেরানোর আগেই জেনে গিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবার হচ্ছে না আরজিকরের শুনানি। সেই খবরে কার্যত হতাশ দেখিয়েছে তাঁদের। শুধু তাঁরাই নন, আরজিকর মামলার শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই খবরে হতাশ অনেকেই।
তাঁদের মেয়ের বিচার চেয়ে গত ২৭ দিন রাস্তায় কলকাতা। শ্যামবাজার থেকে যাদবপুর পথে নেমেছে ছাত্র সমাজ থেকে নাগরিক সমাজ। বিভিন্ন চাপের কাছেও টোল খায়নি আরজিকর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি।
শুরুর দিন থেকেই এই আন্দোলনে যারা আছেন, তাঁদের নৈতিক ভাবে সমর্থন করে এসেছে নির্যাতিতার পরিবার। প্রাক-শিক্ষক দিবসের রাতে আরজিকরে উপস্থিত হয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে আরও মজবুত করলেন নির্যাতিতার বাবা-মা।