আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে পথে নামছেন মানুষ, দিন যত এগোচ্ছে, দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মিছিল। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে স্লোগানে মুখরিত শহর। এর মাঝে আবারও এক রাত দখল। রবিবার রাতভর ধর্মতলায় ধর্নায় নাগরিকরা। রাজনৈতিক পতাকার তলায় নয়, বিচার চেয়ে সারারাত জাগল শহর কলকাতা।
ধর্মতলায় ধর্নামঞ্চে বসে থাকা মুখেদের অধিকাংশকেই আগে দলীয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি। এদের মধ্যে অনেকেই বড় এবং ছোট পর্দার অতিপরিচিত মুখ। কিন্তু সকলের মুখেই এক কথা, সেলেব্রিটি হিসেবে পথে নামেননি তাঁরা, নেমেছেন সাধারণ মানুষ হিসেবেই অধিকারের দাবিতে।
রবিবার বিকেলের মহামিছিলের পর ধর্মতলার জমায়েত থেকে মিছিলের উদ্যোক্তা 'আমরা তিলোত্তমার' তরফে জানানো হয়, প্রশাসনের তরফে তাঁদের দাবি না শোনা পর্যন্ত তাঁরা ধর্নায় বসছেন। প্রতিবাদের মুখ হিসেবে ধর্মতলায় দেখা গিয়েছে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, সোহিনী সরকার, উষসী চক্রবর্তী, বিদিপ্তা চক্রবর্তীদের। রবিবার সন্ধেয় রাজ্য সরকারের চার দফতর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী ও শিশুকল্যাণ এবং পরিবহণ দফতরে ইমেল করা হয় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে। প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়, ইমেলের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে বলে প্রতিবাদীরা জানিয়েছেন।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার ১ সেপ্টেম্বরের মহামিছিলে মদ্যপ অবস্থায় ঢুকে এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম তাপস পাল। তিনি টলিগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।
ধর্মতলার ধর্নামঞ্চেও এক যুবকের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই পুলিশ এসে সেই যুবককে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।