১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার রাতে এই খবর সামনে আসতেই নেটপাড়ায় রাতারাতি পোস্টের বন্যা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাৎক্ষণিক স্বস্তিসূচক পোস্ট চোখে পড়লেও আশঙ্কামূলক পোস্টের আধিক্যও ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরজি কর হাসপাতালে গত ৯ অগাস্ট এক ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করার দিন কয়েকের মধ্যেই তদন্তভার নেয় সিবিআই। ১৬ অগস্ট থেকে টানা ১৫ দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছে সন্দীপকে। সোমবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সন্দীপকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজ়াম প্যালেসের অফিসে। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। কিছুক্ষণ পর গ্রেফতার করা হয় সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং আফসর আলিকে।
গ্রেফতারির খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাসের হাওয়া যেমন চোখে পড়ে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপকে 'আই ওয়াশ' বলে সংশয়ও প্রকাশ করেন অনেকে।
অনেকেই পোস্ট করে লেখেন, খুশি হওয়ার সময় এখনও আসেনি। তারপর খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডের পরিবর্তে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি নিয়েও অনেকেই অসন্তুষ্ট।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০(প্রতারণা) এবং ১২০বি(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় সন্দীপকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরবর্তীতে ধর্ষণ এবং খুনের মামলাও যুক্ত করা হতে পারে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় টাকা পাচারের তদন্তে ইডি সন্দীপকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার জেরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ঘটনার এতদিন পরেও স্বাস্থ্যভবন কেন তাঁকে সাসপেন্ড করল না, সেই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আন্দোলকারী জুনিয়র ডাক্তারদের।