আরজি কর কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় থেকে আরজি করের ‘দাদা’ হয়ে উঠেছিলেন আশিস। হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ সংস্কৃতির অন্যতম মাথা আশিসের উত্থানের নেপথ্যে কারা, কাদের হাত ছিল আশিসের মাথায়? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
শাসকদলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, আশিসের মাথার উপর ছিল বেশ কিছু চিকিৎসকের হাত। বরাবর, আশিস ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। যিনি উত্তরবঙ্গ লবির এক জন বলেই দাবি অনেকের। তবে তৃণমূলের একাধিক নেতার বক্তব্য, আশিস পান্ডে সন্দীপের চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের।
আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি টিএমসিপির পদ ভাঙিয়ে হাসপাতাল, হোস্টেলে ‘দাদাগিরি’ চালাতেন, প্রাক্তন ছাত্রদের ‘ইউনিয়ন রুম’-এ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। ফেস্টের নামে অবৈধ ভাবে টাকা তোলার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া, বেআইনি ভাবে কোয়ার্টারে হাউস স্টাফ বসানো আরজি কর চত্বরের বিভিন্ন স্টল থেকে তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালে ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার আগের রাতে আশিস সল্টলেকের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। সন্দীপ, সুদীপ্তদের হয়ে আশিস-সহ বেশ কয়েক জনের বাহিনী কাজ করত বলেও অভিযোগ। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বদলি, বিভিন্ন টেন্ডার থেকে সন্দীপদের হয়ে আশিস টাকা তুলতেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আশিসের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেছে কিনা, তা জানা যায়নি।
আশিস আরজি করের ‘থ্রেট কালচারের’ অন্যতম হোতা ছিলেন, এমন দাবি করেছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনও। তাঁর দাবি আশিস মাঝ রাতে তাঁর চিকিৎসক মেয়েকে ফোন করে মানসিক নির্যাতন করেছিলেন, প্রকাশ্যে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।