নবান্ন সভাঘরে টানটান উত্তেজনা । একদিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অন্যদিকে, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে বাইরে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা । ইতিমধ্যে তাঁদের সঙ্গে একদফায় কথা বলেছেন রাজ্যরে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার । তাঁরা দু'জনেই জানিয়েছেন, এই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং কোনওভাবেই সম্ভব নয় । কারণ, এই ঘটনা এখন বিচারাধীন । এই বৈঠকের লাইভ করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের থেকে অনুমতি নিতে হবে রাজ্যকে । তবে রাজ্য সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনা করতে তৈরি । আর সেই কারণেই জুনিয়র ডাক্তারদের নবান্নে আসার আগেই নির্ধারিত সভাঘরে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী । এই পরিস্থিতিতে' নো লাইভ, নো মিটিং' এই স্লোগান তুলেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা । নবান্নের সদরেই শুরু হয়েছে তাঁদের অবস্থান ।
মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছে না সরকার । ডিজি রাজীব কুমার জানান, যে কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার হয় না। এ ক্ষেত্রেও তার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই । ওঁদের অনেক বার বোঝানো হয়েছে। ১৫ জনকে আসতে বলা হয়েছিল। ৩২ জন এসেছেন। খোলা মনে আলোচনার সদিচ্ছা রয়েছে বলেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব চিঠি দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ফের নবান্নে বৈঠকের আহ্বান জানান । বিকেল পাঁচটায় বৈঠক ডাকা হয় । মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয় । কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের সব শর্ত মানা হয়নি । জানিয়ে দেওয়া হয় লাইভ সম্প্রচার হবে না । ১৫ জন প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকতে পারবেন । কিন্তু, জুনিয়র ডাক্তাররা জানান তাঁরা যাচ্ছেন বৈঠকে । তবে, চার শর্তে অনড় থেকেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জুনিয়র ডাক্তাররা ।
নবান্নে যাওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে বার্তা এসেছে, স্বাগত জানানো হচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা । তাঁরা তাঁদের বক্তব্য ইমেল মারফত নবান্নে জানিয়েছেন । ৩০ জন প্রতিনিধিই নবান্নে যাচ্ছেন। কেন ৩০ জন প্রতিনিধি, তার ব্যাখ্যায় ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, "রাজ্যে ২৬টি মেডিক্যাল কলেজ। তাই প্রতিনিধির সংখ্যা ৩০ জনের কম হওয়া সম্ভব নয়। এই পথ মুখ্যমন্ত্রীরই দেখানো পথ। নবান্ন খোলা মনে আলোচনা চেয়েছে।" শেষপর্যন্ত কি বৈঠক হবে ? অচলাবস্থা কি কাটবে ?