রবিবার চিকিৎসকদের মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। এনআরএস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন চিকিৎসকদের জয়েন্ট ফোরাম। মিছিল থেকে কালো বেলুনও ওড়ানো হয়। ধর্মতলার ধর্না মঞ্চেও ছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। ওই মিছিলে স্লোগান বদল হয়। মৃত চিকিৎসকের কাকিমা জানান, আর "উই ওয়ান্ট জাস্টিস" নয়। এবার "উই ডিমান্ড জাস্টিস"। রবিবার ধর্নামঞ্চে ডুকরে কেঁদে উঠতেও দেখা যায় নির্যাতিতার বাবা-মা-কে। মেয়েকে হারিয়েছেন। কিন্তু পাশে দাঁড়িয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। রবিবার রাতদখলের ডাক দিয়েছে নাগরিক সমাজ। এবার সেই রাতদখলে সামিল হবে নির্যাতিতার পরিবারও।
আরজি কর কাণ্ড সমাজের সর্বস্তরে প্রতিবাদের ঢেউ তুলেছে। হাহাকার, হতাশা, যন্ত্রণা নিয়ে পথে নামছেন সবাই। কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুবিচার চাইতে এক মাস ধরে ক্লান্তিহীন তিলোত্তমাও। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। রবিবার বিকেল থেকে প্রতিবাদ মিছিল শহর ও রাজ্যের অনেক প্রান্তে। রবিবার বিকেলে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে ফের পথে নামলেন শহরের দুই প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকরা। উত্তর কলকাতায় সিমলা পল্লীতে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি থেকে মিছিল শুরু হয়। 'উত্তর উত্তর চায়' এই ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচি ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সর্থকদের। রবিবার তাঁদের মিছিলে দুই ক্লাবের পতাকা ও প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। ফুটবল সমর্থকদের সঙ্গে মিছিলে পা মিলিয়েছেন সাহিত্যিক, নাট্যব্যক্তিত্ব ও নানা মহলের শিল্পীরা। রবিবার কুমোরটুলি থেকে বাটা মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরাও।
রবিবারই আরজি কর কাণ্ডের এক মাস। গত ৯ অগাস্ট, আরজি করের জরুরি বিভাগের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে রবিবার শহরের একাধিক প্রান্তে মিছিল। শীর্ষ আদালত কিছু জানানোর আগে দ্রুত সুবিচারের আশায় সব সংগঠনই।