সোমবার আরজি কর মামলায় রায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের। শনিবারই এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ধৃত সঞ্জয় রায়কে। এদিন এই মামলায় রায় ঘোষণার আগে শিয়ালদহ আদালতকে কার্যত দূর্গে পরিণত করা হয়। তার মধ্যেই বিশেষ নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালতে হাজির করা হয় এই ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে। বিচারকের নির্দেশ, পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। এই মামলাকে বিরল থেকে বিরলতম মনে করছেন না বিচারক।
গত বছরের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের দেহ। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিক তদন্তে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি করের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাদের বিশেষ আদালতেই এদিন সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক অর্ণব দাস। এর আগে, শনিবার তদন্তে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
যদিও এদিন আদালতে যাওয়ার আগে, নির্যাতিতার পরিবার দাবি করেন, এই ঘটনায় শুধু সঞ্জয় নয়, জড়িত আরও ৫০ জন। আদালতে যাওয়ার আগে তাঁরা জানিয়েছিলেন, লড়াই তাঁরা চালিয়ে যাবেন। গত শনিবার ১৬২ দিনের মাথায় আরজি কর মামলায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
এদিন সিবিআই আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, সেবার জন্য কাজ করছিলেন ওই চিকিৎসক। যা স্বীকার করেছেন বিচারকও। তিনি জানান, একজন চিকিৎসককে সমাজ হারিয়েছে। এদিন এদিন এজলাসে এসে মৃতার পরিবার এসেছে কীনা, তা খোঁজ নেন বিচারক। এজলাসে সঞ্জয়ের সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর কে রয়েছেন ?
জবাবে, সঞ্জয় রায় মায়ের কথা উল্লেখ করেন। তবে ঘটনায় নির্দোষ বলে ফের দাবি করেন সঞ্জয় রায়। এই মামলায় সঞ্জয়ের ফাঁসি দাবি করে সিবিআই। আইনজীবী দাবি করেন, এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম। এদিন মুর্শিদাবাদ যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনিও এই মামলায় ফাঁসি চেয়েছিলেন। তিনিও রাস্তায় নেমেছিলেন। অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন।