দেশের সরকার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। রাজ্য় সরকারও তাই। বাংলায় আগে যারা শাসন ক্ষমতায় ছিল তারাও একই রকম। এই ভাবেই বিজেপি, তৃণমূল ও সিপিএম-কে এক বন্ধনীতে ফেলে বিকল্প মঞ্চ গড়ার ডাক দিলেন, 'রাত দখল' কর্মসূচির উদ্যোক্তারা। রামমোহন লাইব্রেরিতে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই মঞ্চ গড়ার আহ্বান জানান রিমঝিম সিনহা, রুবিয়া মণ্ডল, অনুষ্ণা দাসেরা।
গত ১৪ অগাস্ট তাঁদের রাত দখলের আহ্বানে শুধু কলকাতা নয়, সাড়া দিয়েছিল শহরতলি, জেলাও। এবার ৮ সেপ্টেম্বর রাতদখলের ডাক দিয়েছেন রিমঝিমরা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমন্বকরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিজেদের এলাকায় কর্মসূচি নিচ্ছেন। এবার 'বিকল্প মানুষের ইতিবাচক সমন্বয়ক' মঞ্চ গড়ার ডাক দিয়ে মহিলাদের সুরক্ষা, অধিকারকে সুনিশ্চিত করা কথাও বলেছেন তাঁরা।
পাশাপাশি তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই মঞ্চে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধি। কেন নিষিদ্ধি, তা নিয়ে রুবিয়া জানিয়েছেন, "নেতারা নীতি নির্ধারণের জায়গায় রয়েছেন। তাঁরা সুরক্ষা দিতে পারছেন না, পারেননি। তাই তাঁদের এই মঞ্চে প্রয়োজন নেই।" তবে এই মঞ্চ গঠনের জন্য বিশিষ্টদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি। রুবিয়ার মতে, বিশিষ্টদের মধ্যে অপর্ণা সেন, দীপেশ চক্রবর্তী, জঁ দ্রেজ, নিবেদিতা মেনন, কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারদের পরামর্শ নেওয়া হবে।
আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের পাশাপাশি কাঠামোগত বদলের কথাও বলেছেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকে এই মঞ্চ থেকে সাধারণ মানুষ ধারাবাহিক ভাবে রাস্তায় নেবে আন্দোলন করার প্রশংসাও করা হয়েছে। এই আন্দোলনকে স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন বলেও দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার যেভাবে মহিলাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে মেয়েদের কাজ থেকে বিরত রাখার কথা বলেছে, তাকেও তীব্র আক্রমণ করেছেন রাত দখলের আন্দোলনের সংগঠকরা।