জমি বিবাদের জেরে অন্তঃসত্ত্বাকে পেটে লাথি মারার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রোমোটিং নিয়ে বিবাদে বিজেপি কর্মীর অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূর পেটে লাথি মারার অভিযোগ। অভিযোগের তির একদল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালেরও।
শিবশঙ্কর দাস নামে বিজেপি কর্মীর দাবি, মেন রোডের ওপর ৬ কাঠা জমির প্রমোটিং নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ, জমি বিবাদের জেরে বিজেপি কর্মীর আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূর পেটে লাথি মারে তৃণমূল কর্মীরা ৷ তাঁর অভিযোগ, এক দল দুষ্কৃতী তাঁর ছেলে দীপক দাসকে ক্ষুর নিয়ে আক্রমণ করে। তাঁর অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে মারধর ও পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বিধায়ক পরেশ পাল ও কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের লোক। দুজনেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শিবশঙ্করবাবুর অভিযোগ, এলাকায় তাঁদের একটি শরিকি জমি ছিল। প্রোমোটার কাজ শুরু করেও মাঝপথে কাজ থামিয়ে দেয়। ওই জমিতে এলাকার কিছু প্রোমোটার নতুন করে প্রোমোটিং করতে আসেন। তাদের বাধা দেন শিবশঙ্কর। নতুন প্রমোটাররা তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ।
ছেলে দীপক দাস বলেন, "আমাকে আর আমার বাবাকে খুঁজতে যায় টিএমসির ছেলেরা। আমাদের পায়নি। আমার স্ত্রী ছিল। আমাদের ঘর খালি করতে বলছিল। আমার স্ত্রীকে পেয়ে তাকে মেরে ঘর খালি করে দিয়েছে ওরা। ওর পেটে লাথি মারা হয়। ও অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। গেটের বাইরে বের করে দেয়। এরপর ঘরের জিনিসপত্র ফেলে দেয়।"