'টাকা মাটি, মাটি টাকা'। জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ভরসা শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (Sri Ramkrishna Paramhansa Dev)। জেলে খাওয়া দাওয়া আর ঘুম ছাড়া আর বিশেষ কোনও কাজ নেই। মাঝে মাঝে জেরা করতে আসছেন ইডি আধিকারিকরা। কখনও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। আবার কখনও দিচ্ছেন না। এরপর অঢেল সময়। এই সময়টা আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করতে চাইছেন পার্থ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি আবদার করেছেন, তাঁকে শ্রীম কথিত 'শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত' এনে দিতে হবে।
অর্থনীতি ও বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু জেলের সময়টা সাহিত্যেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Presidency Jail) তাঁর জন্য এসেছে মহাশ্বেতা দেবী অমনিবাস। তাঁর জন্য আনা হয়েছে খাতা ও কলমও। তিনি কি জেলে নিজের রোজনামচা লিখবেন! নাকি আত্মজীবনী! তা যদিও জানা যায়নি। সম্প্রতি ইডির বিশেষ আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আপাতত প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক নম্বর ব্লকের ২ নম্বর সেলই তাঁর ঠিকানা। সেখানে ছোট একটা চৌকি, একটা ফ্যান। কয়েকটা কম্বল দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। তার মধ্যেই পছন্দের বই, খাতা, কলম সাজিয়ে নিতে চাইছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে, কারাবাসে মাঝেমধ্যেই কান্নাকাটি করছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়
অসহায় সময় রামকৃষ্ণের শরণ নেওয়া শৈশবের অভ্যেস। ছেলেবেলার কিছুদিন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে পড়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কথামৃত চর্চার পরিবেশেই বড় হয়েছিলেন। পরবর্তী জীবনে পেশা হিসেবে যদিও বেছে নিয়েছিলেন বেসরকারি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মী। তবে লেখাপড়ার প্রতি তাঁর টান চিরকালের। ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, নিজস্ব বই সংগ্রহও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম নেশা। নিজের সংগ্রহও বেশ ভাল। দল তাই তাঁকে মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদক করেছিল। জেলে রামকৃষ্ণ কথামৃত পড়ে, নিজের মতো সাহিত্য অধ্যবসায় সময় অতিবাহিত করতে চাইছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।