মঙ্গলবার শ্রীভূমি থেকে এই বছরের শারদোৎসবের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যায় উৎসবের এক অন্য মেজাজ ফের দেখল তিলোত্তমা। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের যৌথ মিছিল কলকাতা পা মেলাল কলেজ স্ট্রিট থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত। মহালয়ায় দিন থেকে বঙ্গে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। তার আগে ফের রাত থেকে ভোর দখলের জন্য পথে নামবে এই বাংলা। প্রতিবাদ সেই আরজি করের ঘটনার জন্য।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এদিন উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা পর্যন্ত মিছিল করল চিকিৎসকদের সংগঠন। যে মিছিলেন উল্লেখযোগ্য ভাবে দেখা গেল রাজ্যসভা থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকারকে। এদিনও মিছিলে হাঁটলেন শহরের বেশ কয়েক জন নামী চিকিৎসকও। ছিল নির্যাতিতার পরিবারও। তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ পরিবারের।
এদিকে, মহালয়ার বিকেলে আরজি করের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার কলেজ স্ট্রিট থেকে তাঁদের মিছিল যাবে ধর্মতলা পর্যন্ত। সেখানেও নাগরিক সমাজকে যোগ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। মিছিল শেষে হবে মহাসমাবেশ। তার আগে মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারদের নেতা অনিকেত মাহাত জানিয়েছেন, আগে থেকেই দোসরা অক্টোবর তাঁদের কর্মসূচি ঘোষণা করা রয়েছে।
কিন্তু কতদিন চলবে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি ? কারণ, ইতিমধ্যেই রোগী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত শুক্রবার থেকে সেখানে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আংশিক ভাবে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন নার্সরাও। পরিষেবা ঠিক আছে বলেই পাল্টা দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।
তবে পুজোর মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচি কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের নেতা অনিকেত মাহাত জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে দু-একদিনের মধ্যে জানানো হবে। তবে আন্দোলনের পথ থেকে তাঁর সরছেন না বলে জানিয়েছেন অনিকেত।