একমাসও হয়নি বিয়ে হচ্ছে। হনিমুন করতে হিমাচল বেড়াতে গিয়েছিল বাড়ি মেয়ে। কিন্তু কিন্নরে সুইসাইড পয়েন্টে সেলফি তুলতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। খাদে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল আগারপাড়ার বাসিন্দা জয়িতা দাসের। নিছক দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু, তদন্ত করছে হিমাচল প্রদেশের পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটক করা হয়েছে জয়িতার স্বামী রাহুল পোদ্দারকে। এমনকী, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে যে গাড়িতে তাঁরা সুইসাইড পয়েন্ট পর্যন্ত গিয়েছিল, সেই গাড়ির চালককেও।
আগারপাড়ার নর্থ স্টেশন রোডের এই বাড়িটা দাস পরিবারের। এই পরিবারের মেয়ে জয়িতা। গত ২০ ফেব্রুয়ারি পাইকপাড়ার রাহুল পোদ্দার নামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়িতে শেষবার এসেছিলেন জয়িতা। তারপর হনিমুন করতে হিমাচল প্রদেশ যান। জয়িতার বাবা যাদব দাস জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ কিন্নরের থানা থেকে প্রথম পুলিশের ফোন পান তিনি। তাঁকে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে সুইসাইড পয়েন্ট থেকে গভীর খাদে পড়ে গিয়েছেন। এবং তাঁদের দ্রুত হিমাচল প্রদেশ আসতেও অনুরোধ করা হয় পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন : মাংসের লোভে চিতাবাঘ হত্যা, শিলিগুড়ি থেকে আটক ৩ অভিযুক্ত
পুলিশ সূত্রে খবর, গভীর খাদের পড়ে যাওয়ার জন্য জয়িতার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে আঘাতের চিহ্ন আছে কীনা, তা স্পষ্ট করা হয়নি। এমনকী জয়িতার বাবা যাদব দাসও জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি না জেনে এখনই ছোট জামাই রাহুলকে কাঠগড়ায় তোলা ঠিক হবে না। যদিও রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়িতার বড় দিদি ও তাঁর স্বামী এবং আরেক আত্মীয় শুক্রবারই হিমাচল প্রদেশ গিয়েছেন। পাশাপাশি জামাই রাহুল পোদ্দারের বাবা এবং দাদাও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
পাড়ার মেয়ের এমন পরিণতি শুনে দাসদের বাড়িতে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। তিনি জানান, এলাকায় ভাল মেয়ে বলেই পরিচিত ছিলেন জয়িতা। এমনকী দাস পরিবারও খুব ভাল বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ভিন রাজ্যে গিয়ে কেন এমন হল, সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। তাই জয়িতার রহস্যমৃত্যুতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর অনুপম দত্ত।