পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়তে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায়। তাই ঝুঁকি নিতে রাজি প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সাগর-সহ রাজ্যের একাধিক উপকূলবর্তী অঞ্চলে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কলকাতার জন্য দুটি দলকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কৈখালিতে নিজেদের দফতকে এনডিআরএফ কর্তা অভয় কুমার জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টায় কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ আছে। ওই কর্তার দাবি, জরুরি তলব হলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁরা কাজ শুরু করতে পারবেন। গত কয়েকদিন আগে নবান্নে সিত্রাং মোকাবিলায় বৈঠক করা হয়েছে। ওই বৈঠকের পরেই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে পাঠানো হয়। ইতিমধ্য়েই দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল অঞ্চল থেকে বেশ কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার ভোর নাগাদ বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। যার জেরে ইতিমধ্যেই দুই ২৪ পরগনা-সহ উপকূলের এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কলকাতাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।