বাংলায় নয় ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফল ওড়িশায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভিতরকণিকা ও ধামরা বন্দরে এই ঝড় আছড়ে পড়ার আগে এই দাবি দিল্লির মৌসম ভবনের। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। যার জেরে, এদিন সকাল থেকে উপকূল সলগ্ন ওড়িশার পাঁচটি জেলায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। তবে, প্রভাব থাকবে বাংলায়। তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত কোনও কসুর করেনি রাজ্য সরকার।
নবান্ন থেকে ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে বেশ কয়েক দফা নির্দেশিকা। যেখানে স্পষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোনও গুজব ছড়ানো চলবে না। বাইরের কাজ সেরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে হবে বাড়িতে। সন্ধের পর থেকে ধীরে ধীরে খালি করে দিতে হবে রাস্তা। নির্দেশিকা ঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কীনা, তার নজরদারির দায়িত্ব পুলিশের উপরেই। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাকে অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
বিশেষ করে নজর দেওয়া হচ্ছে, দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, বকখালির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে। ইতিমধ্যেই উপকূলের এই এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরে। কারণ, ল্যান্ডফলের অঞ্চল থেকে খুব কাছেই বাংলার এই জেলা।
এদিকে সাম্প্রতিক কিছু ঘূর্ণিঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। শালিমার স্টেশনে দেখা গিয়েছে ট্রেনের চাকায় শিকল দিচ্ছেন রেলকর্মীরা। ফণী, আমফান, রামেলের সময়ও এই ছবি দেখা গিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এই শাখায়। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে হাওড়া ও শিয়ালদহে এদিন রাত আটটার পর থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল।
এর পাশাপাশি এদিন বিকেলের পর থেকে আগামী ১৫ ঘণ্টার জন্য বন্ধ কলকাতা থেকে উড়ান পরিষেবা। বিমানবন্দরে থাকা উড়ানের সুরক্ষায় ঝড় মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল অঞ্চলের প্রতিটি হাসপাতাল এবং জেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে আপদকালীন পরিষেবার জন্য জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।